জম্মুর নাগরোটায় শনিবার রাতে সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাল এক সন্দেহভাজন। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তারক্ষীরাও। এই ঘটনায় এক জওয়ান আহত হয়েছেন। সন্দেহভাজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান চাপানউতোরের মধ্যে গত রাতের এই ঘটনা আবারও দেশের নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
রাতেই সেনার ১৬ কোর (হোয়াইট নাইট কোর)-এর তরফে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে লেখা হয়, ‘শনিবার রাতে নাগরোটার সেনাঘাঁটির কাছে এক সন্দেহভাজনের গতিবিধি লক্ষ করা যায়। সেই সময়ে সেনাঘাঁটির এক জওয়ান সন্দেহভাজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। দু’পক্ষের মধ্যে কিছু ক্ষণের জন্য গোলাগুলি চলে। এই ঘটনায় ওই জওয়ান আহত হয়েছেন।’
হামলার পরেই সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়। তার খোঁজে সেনাঘাঁটির আশপাশে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। সন্দেহভাজনের পরিচয় জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে সে ভারতে ঢুকেছিল।
শনিবার বিকেলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের আকাশে একাধিক পাকিস্তানি ড্রোন লক্ষ করা যায়। এর পরেই ভারতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলি সক্রিয় হয় ওঠে এবং সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করতে সফল হয়। এই ঘটনার কিছু ক্ষণের মধ্যে নাগরোটায় সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতে শ্রীনগরের উপকণ্ঠে কমপক্ষে দু’টি চালকবিহীন বিমান দেখা গেলে, নিরাপত্তাবাহিনী সেগুলি নিষ্ক্রিয় করতে গুলি চালাতে বাধ্য হয়। বার বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করায় পাকিস্তানকে শনিবার রাতে কড়া জবাব দেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)