মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায় সরকারি হাসপাতাল থেকে ‘নিখোঁজ’ নির্যাতিতা! ওই নাবালিকার মা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মায়ের সঙ্গে রোগীর পরিজন হিসাবে ওই কিশোরীও হাসপাতালে ছিল। এরই মধ্যে গত রবিবার রাত এবং সোমবার ভোরের মধ্যে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও হাসপাতাল চত্বরের মধ্যেই তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে ওই নির্যাতিতা কিশোরীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘটনাচক্রে, রেওয়ার বিধায়ক হলেন মধ্যপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্ল। ফলে নির্যাতিতা নাবালিকার এই ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকাও আতশকাচের তলায় চলে এসেছে। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, রবিবার এবং সোমবারের মাঝের রাতেই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এর পরে দুষ্কৃতীরা হাসপাতালের একটি স্ট্রেচারে কিশোরীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, স্ট্রেচারে শুইয়ে এক কিশোরীকে হাসপাতালে রেখে যাচ্ছেন কয়েকজন ব্যক্তি।
যদিও অভিযুক্তদের এখনও শনাক্ত করা হয়নি। অপরাধটি কোথায় ঘটেছে, কারা জড়িত ছিল— তা তদন্তসাপেক্ষ। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনার নির্যাতিতার পরিবার বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও অভিযোগ থানায় যায়নি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে জানান বলে অভিযোগ।
রেওয়া জেলার পুলিশ সুপার বিবেক সিংহ জানান, এখনও পর্যন্ত অভিযোগকারী বা নির্যাতিতা পুলিশের কাছে আসেননি। ঘটনার বিষয়ে কারও কাছে কোনও তথ্য থাকলে পুলিশকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা না হলেও, হাসপাতালের দুই ওয়ার্ড বয় এবং এক নিরাপত্তাকর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর।
আরও পড়ুন:
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয় রেওয়ার জেলাশাসক প্রতিভা পালের সঙ্গেও। পরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ফোন করে ঘটনার কথা জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুসারে, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল গত রবিবার রাত এবং সোমবার ভোরের মধ্যে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
ওই নাবালিকা যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিল, এমন একটি অভিযোগ নজরে এসেছে বলে জানান হাসপাতালের সুপার রাহুল মিশ্রও। তিনি জানান, বিষয়টি জানার পরেই ওই নাবালিকাকে ভর্তি করানো হয়েছিল। তবে পরে ওই নাবালিকাকে আর হাসপাতালের বেডে দেখা যায়নি, তা-ও স্বীকার করেছেন তিনি। সুপার জানান, কিশোরীর খোঁজ না মেলায় পুলিশকে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানানো হয়। পাশাপাশি ঘটনার কথা প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা দেরিতে জানানোর জন্য ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।