ভিন্ন ধর্মের দুই সাবালক যুগলের সিদ্ধান্তে রাষ্ট্র আপত্তি জানাতে পারে না! সম্প্রতি এক মামলায় এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হিন্দু তরুণীকে বিয়ে করার পরে বেআইনি ধর্মান্তরণের অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরাখণ্ডের পুলিশ। তাঁকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। ওই তরুণকে জামিন দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ওই যুগল উভয়েই প্রাপ্তবয়স্ক। তাঁরা উভয়ের ধর্মের বিষয়ে অবগত ছিলেন এবং দুই পরিবারের সম্মতি নিয়েই বিয়ে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কোনও আপত্তি তুলতে পারে না বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
উত্তরাখণ্ডের ওই তরুণকে বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই সে রাজ্যের ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন, ২০১৮-র আওতায় গ্রেফতার করা হয়। বেআইনি ভাবে ধর্মান্তরণ করানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। প্রায় ছ’মাস ধরে জেলে ছিলেন তিনি। ধৃত তরুণ জামিন চেয়ে প্রথমে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানে তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। পরে জেলমুক্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সম্প্রতি ওই মামলায় ধৃত তরুণকে জামিন দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, মহিলা এবং ধৃত তরুণ উভয়েই সাবালক। তাঁরা নিজেদের বাবা-মা এবং পরিবারের সম্মতি নিয়েই বিয়ে করেছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের একসঙ্গে থাকার বিষয়ে রাষ্ট্র কোনও আপত্তি জানাতে পারে না। মামলার সব দিক বিবেচনা করে ধৃতকে জামিন দেওয়া উচিত বলেই মনে করে আদালত।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদন অনুসারে, বিয়ের কয়েক দিন পরেই তরুণীর দূর সম্পর্কের কয়েকজন আত্মীয় এবং কিছু নির্দিষ্ট সংগঠন উত্তরাখণ্ডের উধম সিংহ নগর জেলার একটি থানায় অভিযোগ জানায় তরুণের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তরুণকে। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি ধর্মান্তরণ বিরোধের ধারার পাশাপাশি প্রতারণা এবং পরিচয় ভাঁড়িয়ে প্রতারণার ধারাও যুক্ত করা হয়েছিল। উত্তরাখণ্ড পুলিশের ওই মামলায় অভিযুক্তকে জামিনের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।