বিহারে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। দিন কয়েক আগে বিহারে কোনও এলাকায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করার শংসাপত্র (রেসিডেন্স সার্টিফিকেট) জারি হয় ‘ডগ বাবু’ নামে এক জনৈক সারমেয়র নামে। সেই নিয়ে শোরগোলের মধ্যে এ বার ‘ডগেশ বাবু’ নামে অন্য এক জনৈক আবেদন করলেন! আবেদনপত্রে রয়েছে এক কুকুরের ছবি।
বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার তালিকায় ‘বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষা’ (এসআইআর) করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কারা প্রকৃত ভোটার, কাদের নাম তালিকায় থাকবে, তা নির্ধারিত হচ্ছে কমিশন নির্ধারিত ১১টি নথির ভিত্তিতে। সেই ভিত্তিতে বিহারের নওয়াদা জেলা প্রশাসনের কাছে এই বিতর্কিত আবেদনপত্র জমা পড়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। ওই আবেদনকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে তারা। শুধু তা-ই নয়, নওয়াদার জেলাশাসক রবি প্রকাশ স্থানীয় পুলিশকে আরটিপিএস (জনসেবার অধিকার) পোর্টালের অপব্যবহারের বিষয় নিয়ে একটি এফআইআর দায়ের করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে কুকুরের ছবি (যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম) সম্বলিত ওই আবেদনপত্রটি। আবেদনপত্রের ডান দিকে রয়েছে কুকুরের ছবি। রয়েছে ‘ডগ বাবু’র পিতামাতার নাম-ঠিকানাও। ওই শংসাপত্র অনুযায়ী, ‘ডগ বাবু’ নওয়াদা জেলার শেরপুর এলাকার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে পটনার মসৌড়ী আঞ্চলিক অফিস থেকে দেওয়া একটি শংসাপত্রকে কেন্দ্র করে শোরগোল শুরু হয় বিহারে। ওই শংসাপত্র অনুযায়ী, ‘ডগ বাবু’ পটনা জেলার কৌলিচক এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিহার সরকারের সিলমোহরও ছিল ওই শংসাপত্রে। নীচে ছিল আঞ্চলিক অফিসের রাজস্ব আধিকারিক মুরারী চৌহানের ডিজিটাল স্বাক্ষর। সেই বিতর্কের মধ্যে এ বার ভাইরাল ‘ডগেশ বাবু’র আবেদনপত্র।