বিহার বিধানসভা ভোটে জয়ী এক বিধায়কের এ রাজ্যের সঙ্গে যোগ অবিচ্ছিন্ন। শুক্রবার বিজেপির হয়ে জিতে বিধায়ক হলেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার আনন্দ মিশ্র। তিনি আদতে হুগলির উত্তরপাড়ার মাখলার তেঁতুলতলার বাসিন্দা। ঘরের ছেলের বিধায়ক হওয়ার খবরে মাখলায় আত্মীয়-পরিজন থেকে পাড়া-পড়শিরা খুশি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চুয়াল্লিশের আনন্দের বাবা পরমহংস মিশ্র হিন্দুস্থান মোটরস কারখানার কর্মী ছিলন। আনন্দের পড়াশোনা এইচএম এডুকেশন স্কুলে। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক হন। হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুলিশ ম্যানেজমেন্ট নিয়ে স্নাতকোত্তর করেন। ২০১০ সালে আইপিএস হয়ে চাকরি পেয়ে অসমে চলে যান। নওগাঁ, লখিমপুর-সহ কয়েকটি জেলায় পুলিশ সুপারের দায়িত্ব সামলেছেন।
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে চাকরিতে ইস্তফা দেন আনন্দ। এক সময় প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে জন সুরাজ পার্টিতে ছিলেন। পরে, সে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এ বার বিধানসভা ভোটে বক্সার সদর কেন্দ্র থেকে তিনি ভোটে দাঁড়ান। এ দিন ভোটের ফল বেরোয়।
আনন্দের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বেশ কয়েক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর আপ্ত-সহায়ক জানান, আনন্দ নানা লোকের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত রয়েছেন। বিধায়কের শ্যালক পবন তিওয়ারি উত্তরপাড়ায় থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘(আনন্দ) এখানে মাঝেমধ্যেই আসেন। লোকসভা ভোটের আগে, চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন।’’
মাখলায় আনন্দের প্রতিবেশীরা জানান, নিয়মিত ভাবেই বাড়িতে আসেন এই প্রাক্তন পুলিশকর্তা। মিশুকে স্বভাবের মানুষ। মার্শাল আর্ট, গিটার বাজানো, জনসেবায় আগ্রহ রয়েছে। এলাকার মানুষজনের সুবিধার জন্য মাখলা এলাকার একটি ক্লাবকে প্রয়াত মা শান্তি মিশ্রর নামে একটি অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছিলেন। প্রতিবেশী তথা বিজেপি নেতা পঙ্কজ রায় বলেন, ‘‘ওঁর জন্য গর্বিত। এত দিন পুলিশকর্তা হিসেবে গর্ব ছিল। এ বার বিধায়ক হলেন বলে ভাল লাগছে।’’ পড়শিদের আশা, একদা সফল আইপিএস অফিসার বিধায়ক হিসাবেও সাফল্য পাবেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)