ঝর্নার সংস্কারের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি চলছিল। হঠাৎ মাটির তলা থেকে বেরিয়ে এল পাথরে খোদাই করা প্রাচীন মূর্তি! শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। হিন্দু দেবদেবীদের ওই প্রতিকৃতিগুলির মধ্যে রয়েছে শিবলিঙ্গও।
সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগের সালিয়ার অন্তর্গত কারকুটনাগে একটি ঝর্নার সংস্কারের জন্য খননকার্য চালাচ্ছিল পূর্ত দফতর। সে সময় হঠাৎ মাটি সরাতেই বেরিয়ে আসে প্রাচীন শিবলিঙ্গ! সঙ্গে আরও কয়েকটি প্রাচীন হিন্দু দেবদেবীর প্রতিকৃতি উদ্ধার হয়। পাথরের গায়ে খোদাই করে করে প্রতিকৃতিগুলি বানানো হয়েছিল। চোখে দেখে মূর্তিগুলির বয়স বোঝা না গেলেও এটা বোঝা যাচ্ছিল যে এগুলি বেশ পুরনো।
আরও পড়ুন:
খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান জম্মু ও কাশ্মীরের প্রত্নতত্ত্ব ও সংগ্রহশালা বিভাগের কর্তারা। তাঁরাও জানিয়েছেন, মূর্তিগুলি বেশ পুরনো হতে পারে। তবে এগুলির সঠিক বয়স এবং ইতিহাস জানতে সেগুলিকে শ্রীনগরের পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। তার পর মূর্তিগুলির গুরুত্ব যাচাই করে সেগুলিকে এসপিএস জাদুঘরে স্থানান্তরিত করা হবে। সেখানে এই মূবর্তিগুলির ইতিহাস নিয়ে আরও গবেষণা চলবে।
এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, কারকুটনাগের ওই এলাকা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কাছে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সেখানে আগে কারকুটা রাজবংশের রাজত্ব ছিল। সম্ভবত প্রাচীনকালে সেখানেই গড়ে উঠেছিল কোনও মন্দির। সেই মন্দির থেকে এই পাথরের মূর্তিগুলি আসতে পারে। ওই বাসিন্দা বলেন, ‘‘জেলা সদর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্থানটি আগে একটি তীর্থস্থান ছিল। এখানকারই পবিত্র ঝর্না থেকে মূর্তিগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলির মধ্যে কয়েকটি শিবলিঙ্গ, একটি ভাস্কর্য এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাই, যে হেতু এখানে আগে একটি মন্দির ছিল, তাই এখানে একটি নতুন মন্দির তৈরি করা হোক। শিবলিঙ্গগুলি সেখানেই রাখা হোক।’’