Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে সরল অম্বানীরা

ঝাড়খণ্ডের ঝুমরি তিলাইয়ার প্রস্তাবিত বিদ্যুত্ প্রকল্প থেকে অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স পাওয়ার সরে দাঁড়ানোয় হতবাক রাজ্যের বিজেপি সরকার। এবং তারপরেই সরকারের তরফে মুখ্যসচিবকে সাংবাদিক বৈঠক করে সরকারের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের তরফে মুখ্যসচিব রাজীব গোবা জানান, এই সিদ্ধান্তে সরকার মর্মাহত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রাঁচি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১২
Share: Save:

ঝাড়খণ্ডের ঝুমরি তিলাইয়ার প্রস্তাবিত বিদ্যুত্ প্রকল্প থেকে অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স পাওয়ার সরে দাঁড়ানোয় হতবাক রাজ্যের বিজেপি সরকার। এবং তারপরেই সরকারের তরফে মুখ্যসচিবকে সাংবাদিক বৈঠক করে সরকারের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের তরফে মুখ্যসচিব রাজীব গোবা জানান, এই সিদ্ধান্তে সরকার মর্মাহত।

গত কাল মুম্বইয়ে কোম্পানির তরফে জানানো হয়, ঝুমরি তিলাইয়ার ৩৯৬০ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুত্ প্রকল্প থেকে তারা সরে দাঁড়াচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, ঠিক সময়ে তাঁরা প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ২ হাজার ৫২৩ একর জমি হাতে পায়নি। এ ছাড়াও প্রকল্পে নিরবিচ্ছিন্ন কয়লা সরবরাহের জন্য ‘ক্যাপটিভ কোল ব্লক’-ও রাজ্য সরকার তাদের হস্তান্তর করেনি। এর ফলে সময় মতো প্রকল্পের কাজ শুরু করতে না পারায় ৩৬ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের খরচ গত পাঁচ বছরে বেড়ে গিয়ে প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের উত্পাদিত বিদ্যুত্ দেশের দশটি রাজ্যে পরবর্তী ২৫ বছর ধরে বিক্রির চুক্তিও করেছিল রিলায়্যান্স পাওয়ারের অধীনস্থ সংস্থা ঝাড়খণ্ড পাওয়ার ইন্টিগ্রেটেড লিমিটেড (জেপিআইএল)। বিদ্যুত্ মূল্য নির্ধারণ কমিশন এক্ষেত্রে বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের দাম ১ টাকা ৭৭ পয়সা বেঁধেও দিয়েছিল।

২০০৯ সালে নিলামের মাধ্যমে এই প্রকল্প হাতে নেওয়ার পর কেন হঠাত্ রিলায়্যান্স পাওয়ার সরে গেল তা নিয়ে জল্পনা শুরু রাজ্যস্তরে। সদ্য ক্ষমতায় আসা বিজেপি সরকার এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। তবে মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি না হয়ে বিষয়টি মুখ্যসচিবের কোর্টেই ঠেলে দেন। সরকারি এক সূত্রের কথায়, মুখ্যসচিবই এই বিষয়টি ঠিকঠাক বলতে পারবেন বলেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকেই দায়িত্ব দিয়েছেন। এর পর আজ হঠাত্ই মুখ্যসচিব সাংবাদিক বৈঠক ঢাকেন। সেখানে তিনি রিলায়েন্সের বক্তব্যকে খারিজ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ওদের এই সিদ্ধান্তে আমরা মর্মাহত। রাজ্যে নতুন সরকার আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সকলে রাজ্যে লগ্নি টানার বিষয়ে পরিশ্রম করছেন। জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রকল্পের গুরুত্ব অনুযায়ী অগ্রাধিকার পাচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE