রাজস্থানের কোটায় আবার আত্মহত্যার ঘটনা। গত বুধবার রাতে হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল এক ২৬ বছর বয়সি ডাক্তারি (এমবিবিএস) পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। মৃতের ঘর থেকে মিলেছে একটি নোট। তাতে লেখা, ‘‘মা ও বাবা, আমি তোমাদের স্বপ্নপূরণ করতে পারলাম না। আমাকে ক্ষমা কোরো!’’
সুনীল বৈরওনা নামে ওই ছাত্র রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে ধরা পড়েন তিনি। তৃতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়াকে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে টানাপড়েন চলছিল সুনীলের। তাঁর এই অবস্থার কথা জানতেন না বাড়ির লোক। পুলিশের অনুমান, কলেজ থেকে সাসপেন্ড হওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সুনীল। সেই কারণেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
মহাবীর নগর থানার এসএইচও রমেশ কাভিয়া জানান, হস্টেলের ওয়ার্ডেন বিষয়টি দেখতে পান। তিনিই কলেজ অধ্যক্ষকে জানান। তার পর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তদন্তকারীরা গিয়ে হস্টেলের ঘর থেকে সুনীলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন। পাওয়া যায় সুইসাইড নোটও। যদিও মৃতের বাবা কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, প্রথম বার ফলপ্রকাশের পর দেখানো হয়েছিল, সুনীল প্রথম বর্ষে ফেল করেছিলেন। পরে রিভিউ করার পর দেখা যায় তাঁর পুত্র উত্তীর্ণ হয়েছেন।
আরও পড়ুন:
সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পড়ুয়ারা নিট এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকার প্রস্তুতি নিতে এই কোটা শহরে আসেন। এখানে থেকে পড়াশোনা করেন। সেই পড়াশোনার চাপের কারণেই অনেকে চরম পদক্ষেপ করেন বলে অভিযোগ। রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ার দাবি করেছেন, ‘প্রণয়ঘটিত’ কারণেই ওই পড়ুয়ারা আত্মঘাতী হয়েছেন। মন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তিনি অভিভাবকদের অনুরোধ করেছিলেন, সন্তানদের কম চাপ দিতে। ২০২৪ সালে কোটায় ১৭ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছিলেন। ২০২৩ সালে ২৩ জনের আত্মহত্যার অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছিল।