Advertisement
E-Paper

কুকুরের পরে বিড়াল! ‘ক্যাট কুমার’ নামে শংসাপত্রের আবেদন বিহারে, তদন্তের নির্দেশ দিল জেলা প্রশাসন

দিন কয়েক আগে পটনার মসৌড়ী আঞ্চলিক অফিস থেকে দেওয়া একটি শংসাপত্রকে কেন্দ্র করে শোরগোল শুরু হয় বিহারে। ওই শংসাপত্র অনুযায়ী, ‘ডগ বাবু’ পটনা জেলার কৌলিচক এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিহার সরকারের সিলমোহরও ছিল ওই শংসাপত্রে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৫ ১৪:৫২
স্থায়ী ভাবে বসবাসের শংসাপত্রের জন্য ‘ক্যাট কুমার’-এর আবেদন।

স্থায়ী ভাবে বসবাসের শংসাপত্রের জন্য ‘ক্যাট কুমার’-এর আবেদন। ছবি: সংগৃহীত।

‘ডগ বাবু’, ‘ডগেশ বাবু’, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প’ হয়ে এ বার ‘ক্যাট কুমার’! একের পর এক অদ্ভুত নামে স্থায়ী ভাবে বসবাসের শংসাপত্র (রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট) চেয়ে আবেদন জমা পড়ছে বিহারে। সম্প্রতি বিহারের রোহতাসে ‘ক্যাট কুমার’ নাম এক জন শংসাপত্রের আবেদন করেছেন। আবেদনপত্র অনুসারে, তাঁর বাবার নাম ‘ক্যাটি বস্‌’ এবং মায়ের নাম ‘ক্যাটিয়া দেবী’। ঘটনাটি নজরে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ এবং নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এই কাজের জন্য কমিশন ১১টি নথির কথা উল্লেখ করেছে। ওই ১১টি নথির মধ্যে রয়েছে কোনও এলাকায় স্থায়ী ভাবে বসবাসের শংসাপত্রও। এসআইআর ঘিরে যেমন বিতর্ক চলছে, তেমনই বিহারে একের পর এক অদ্ভুত নামে শংসাপত্রের আবেদন ঘিরেও বিতর্ক চলছে। রোহতাসে ‘ক্যাট কুমার’ নামে এই অদ্ভুত আবেদনকারীর বিষয়টি নজরে আসতেই পদক্ষেপ করেছে জেলা প্রশাসন। রাজস্ব আধিকারিক কুশল পটেলকে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক উদিতা সিংহ। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

স্থায়ী ভাবে বসবাসের ওই আবেদনপত্রের সঙ্গে একটি মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আই়ডিও উল্লেখ করা হয়েছে। সঙ্গে এ-ও উল্লেখ রয়েছে আবেদনকারী রোহসতাসের নসরিগঞ্জ ব্লকের বাসিন্দা। কোন গ্রাম, তা-ও উল্লেখ রয়েছে। এই সংক্রান্ত তথ্যগুলি যাচাই করে দেখছেন আধিকারিকেরা। জেলা প্রশাসনের তরফে থানায় জানানো হয়েছে, আবেদনকারীরে এই কাণ্ডে সরসারি কাজে বিঘ্ন ঘটছে। সরকারি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সাধারণ মানুষের কাছে প্রশাসনের ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা হয়েছে বলেও অভিযোগ জেলা প্রশাসনের।

বস্তুত, দিন কয়েক আগে পটনার মসৌড়ী আঞ্চলিক অফিস থেকে দেওয়া একটি শংসাপত্রকে কেন্দ্র করে শোরগোল শুরু হয় বিহারে। ওই শংসাপত্র অনুযায়ী, ‘ডগ বাবু’ পটনা জেলার কৌলিচক এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিহার সরকারের সিলমোহরও ছিল ওই শংসাপত্রে। নীচে ছিল আঞ্চলিক অফিসের রাজস্ব আধিকারিক মুরারী চৌহানের ডিজিটাল স্বাক্ষর। সেই বিতর্কের পরে ‘ডগেশ বাবু’, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প’ নামেও আবেদনপত্র জমা পড়ে। তা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। এ বার আরও এক অদ্ভুত আবেদন জমা পড়ল বিহারে।

Bihar cat Residential Certificate
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy