ছবি: পিটিআই।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আবারও গুলি চলল কাশ্মীরে। বুধবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায় এনকাউন্টারে মৃত্যু হল এক সেনা আধিকারিক। গুরুতর আহত হয়েছেন এক জন সাধারণ নাগরিকও।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জঙ্গিদের গোপন ডেরার বিষয়ে সেনার কাছে খবর আসে। সেই মতো রাতেই চার সন্ত্রাসবাদীর খোঁজে গিয়েছিল সেনার একটি দল। রাতেও দু’পক্ষের মধ্যে এক দফা গোলাগুলি চলে। সাময়িক বিরতির পর বুধবার সকাল থেকে ফের শুরু হয় গুলির লড়াই। তখনই জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার এক সেনা আধিকারিকের।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, নিহত ক্যাপ্টেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৪৮ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসে কর্মরত ছিলেন। এনকাউন্টার স্থল থেকে আমেরিকান এম-৪ অ্যাসল্ট রাইফেল এবং বিভিন্ন অস্ত্র-সহ তিনটি ব্যাগ উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। চার জঙ্গির খোঁজে এখনও চলছে ‘অপারেশন’।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিক ভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে নাশকতা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। ২০২১ থেকে সেখানে জঙ্গি হামলার বলি হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি জওয়ান। সেই হামলা ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে গত কয়েক সপ্তাহে। শনিবারই অনন্তনাগে জঙ্গি হামলায় ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের দুই জওয়ান নিহত হন। এ ছাড়াও হামলা হয়েছে কূপওয়াড়া, কিস্তয়াড়, কাঠুয়ায়। এর আগে জুলাই মাসে ডোডা জেলার দেশা জঙ্গলে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন চার সেনা জওয়ান। তাঁদের মধ্যে এক জন এ রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন। দার্জিলিঙের বাসিন্দা ওই জওয়ানের নাম ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপা।
মাসখানেক আগেই খবর মিলেছিল, কাশ্মীরের পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়ে রয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি। অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাদের সঙ্গে আরপিজি, মেশিনগান-সহ আধুনিক অস্ত্র, নাইট ভিশন্ এবং উন্নত স্যাটেলাইট ফোন রয়েছে। এর পরেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। নির্বাচনের আগে উপত্যকায় অশান্তি ছ়ড়ানোর অপচেষ্টা রুখতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রুখতে জারি রয়েছে কড়া নজরদারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy