অনন্তনাগে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি। ছবি: পিটিআই।
কারও বাড়িতে দু’বছরের, তো কারও বাড়িতে দু’মাসের সন্তান। জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে হত সেনা মেজর এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডেপুটি পুলিশ সুপারের (ডিএসপি) বাড়িতে এখন শুধুই হাহাকার। বুধবার ভোর থেকে অনন্তনাগের কোকেরনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় সেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনীর। সেই সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন কর্নেল মনপ্রীত সিংহ, মেজর আশিস ধনচক এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হুমায়ুন ভাট।
সেনা সূত্রে খবর, তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় জঙ্গিরা আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে। সেই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন কর্নেল, মেজর এবং ডিএসপি। কর্নেলের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় মেজর এবং ডিএসপির। মেজর আশিসের বাড়ি হরিয়ানার পানিপতে। সেখানে সেক্টর ৭-এ থাকে তাঁর পরিবার। আশিসরা চার ভাইবোন।
পরিবার সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগেই জম্মুতে বদলি হন আশিস। এ বছরই তিনি পেয়েছিলেন ‘সেনা মেডেল’। পরিবারে বাবা, মা, স্ত্রী এবং দু’বছরের সন্তান রয়েছে। মেজরের কাকা বলেন, “শেষ বার ফোনে কথা হয়েছিল আশিসের সঙ্গে। মাস দেড়েক আগেই বাড়িতে এসেছিল আশিস। অক্টোবরেও আবার আসত। ওই সময় নতুন বাড়িতে স্থানান্তরের কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সব শেষ।” পানিপতের ধনচক পরিবারে এখন শুধুই সন্তানহারা, স্বামীহারা এবং পিতৃহারার শোক। সম্প্রতি কর্নেল মনপ্রীত এবং মেজর আশিস কোকেরনাগেরই একটি ভলিবল প্রতিযোগিতায় হাজির ছিলেন। তাঁদের দু’জনের সেই ছবিও সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে।
অন্য দিকে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হুমায়ুন ভাটের পরিবারেও শুধু হাহাকার। সন্তান হারিয়ে ভেঙে পড়েছে ভাট পরিবার। হুমায়ুনের বাবা গুলাম হাসান জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি) ছিলেন। গুলিতে আহত হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। হুমায়ুনের দু’মাসের এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy