গত জুলাই মাসে রীতিমতো ঘোষণা করে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সংশ্রব ত্যাগ করেছিলেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। আজ সকালে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে যদি ২০২৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়, তা হলে তাঁরা চলে আসবেন। তাঁর কথায়, বিরোধীদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে উচ্চতা রয়েছে, তার সঙ্গে বর্তমানের কোনও দলের কোনও নেতারই তুলনা হয় না।
আজকের বৈঠকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত দু’জন কংগ্রেস নেতা কয়েক জন বিজেপি প্রার্থীকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন আপ-কে হারানোর জন্য। প্রসঙ্গত এর আগে কেজরী গুজরাতের জুনাগড় জেলার বিসাবাদর উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে হেরে সরাসরি অভিযোগ তুলেছিলেন, কংগ্রেস গোঁজ প্রার্থী দিয়ে বিজেপিকে সুবিধা করে দিয়েছে। অথচ তখনও ইন্ডিয়া জোটের মধ্যেই ছিল আপ। দিল্লির ভোটে পর্যুদস্ত হওয়ার পর আপের ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
আজ সকাল সাড়ে এগারোটার সময় ডেরেক তৃণমূল তথা বিরোধীদের দূত হিসেবে গিয়েছিলেন কেজরীর বাড়িতে। ছিলেন প্রায় এক ঘণ্টা। উপরাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের প্রার্থীর সর্বসম্মতিক্রমে বাছাই হওয়া নামে তাঁর সিলমোহর চাইতেই মূলত ডেরেকের যাওয়া। সেই নামে সঙ্গে সঙ্গেই সম্মতি দিয়ে দেন কেজরীওয়াল জানান, নামের প্রস্তাবে অন্যদের পাশে আপ সাংসদদেরও সই থাকবে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, যে হেতু ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সদস্য নন ফলে এই প্রার্থীকে ‘বিরোধীদের প্রার্থী’ হিসাবে তুলে ধরতে হবে। ‘ইন্ডিয়ার’ প্রার্থী বলা যাবে না। তাতে অবশ্য সম্মত হন কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর সে কারণেই আজ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনের শেষে খড়্গের কাছ থেকে মাইক নিয়ে সে কথা উল্লেখ করেন ডেরেক।
প্রসঙ্গত চলতি বাদল অধিবেশনে ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর) নিয়ে ধর্না-প্রতিবাদে আপকে সঙ্গে পেয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ‘ইন্ডিয়ার’ সঙ্গে আপ-এর সূত্রধরের কাজটা তারাই করে চলেছে। প্রসঙ্গত গত কাল খড়্গের বাসভবনে বিরোধীদের বৈঠকেও হাজির ছিলেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। আজ ডেরেকের সঙ্গে বৈঠকে কেজরীওয়াল জানিয়েছেন, তৃণমূল নেত্রী দিল্লি এলে তিনি অবশ্যই তাঁর দেখা করবেন। মমতার সঙ্গে বেশ কিছু রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন তাঁর।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)