দিল্লি বিস্ফোরণের পরেই জনসাধারণের জন্য লালকেল্লার দরজা বন্ধ করে দেয় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই)। শনিবার বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, রবিবার অর্থাৎ, ১৬ নভেম্বর থেকে লালকেল্লা খোলা হবে।
গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট নাগাদ লালকেল্লা মেট্রোর এক নম্বর গেটের সামনে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। তার পরেই লালকেল্লা বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। শনিবার তাঁরা জানান, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের দুই এবং তিন নম্বর গেট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এক নম্বর গেট আপাতত বন্ধই থাকবে। বিস্ফোরণের পর পরই ঘটনাস্থলের চারপাশ ঘিরে ফেলা হয়। ওই এলাকা তো বটেই, ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকাতেও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে দেওয়া হয়।
বিস্ফোরণের পর এএসআই কর্তৃপক্ষ দিল্লি পুলিশকে চিঠি লিখে লালকেল্লা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান। প্রথমে বলা হয়, মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত লালকেল্লা বন্ধ রাখা হবে। তবে পরে তদন্তের স্বার্থে সেই সময়সীমা আরও দু’দিন বাড়ানো হয়। শনিবার এএসআই কর্তৃপক্ষ আবার লালকেল্লা খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন।
আরও পড়ুন:
লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ ঘটাতে প্রায় দু’কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট লেগেছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া মোট ৫২টি নমুনা বিশ্লেষণ করে এমনটাই অনুমান করছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। তবে শুধু অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নয়। সঙ্গে আরও এক দাহ্য পদার্থ ব্যবহৃত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং পেট্রোলিয়াম দিয়ে বোমা তৈরি করা হয়েছিল। তাতেই গত ১০ নভেম্বর তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে লালকেল্লার সামনে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা সাদা হুন্ডাই আই২০ গাড়িটিতে। মৃত্যু হয় ১৩ জনের।