অসম মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিল, সে রাজ্যের সংখ্যালঘু-প্রধান ও বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা ‘অরক্ষিত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে’ বসবাসকারী আদি বাসিন্দাদের ‘নিজস্ব সুরক্ষার জন্য’ সহজেই অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান করা হবে! এ জন্য একটি বিশেষ প্রকল্পও অনুমোদনকরা হয়েছে।
আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, রাজ্যের ভূমিপুত্র ও জনজাতিরা নিজেদের জমিতেই ‘বাংলাদেশিদের’ আক্রমণ ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন আক্রমণ থেকে ভূমিপুত্ররা যাতে নিজেদের সুরক্ষিত করতে পারেন, তার জন্যেই এই বিশেষ অস্ত্র প্রকল্পটি ধুবুড়ি, নগাঁও, মরিগাঁও, বরপেটা, দক্ষিণ শালমারা এবং গোয়ালপাড়ার মতো জেলাগুলিতে প্রযোজ্য হবে। উল্লেখ্য, এই সব জেলাতেই সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা বেশি এবং তাঁদের সিংহভাগকেই ‘বাংলাদেশি’ বলে দাগিয়ে দেওয়াটা দস্তুরহয়ে দাঁড়িয়েছে।
হিমন্ত ঘোষণা করেন, ‘‘ওই সব এলাকায় এখন আমাদের মানুষরাই সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। তাঁদের তরফে সরকারের কাছে নিরাপত্তার অভাব সংক্রান্ত অভিযোগ আসছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেই সব অভিযোগ পর্যালোচনা করে ও ভূমিপুত্রদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই সরকার সংবেদনশীল, ঝুঁকিপূর্ণ ও ‘অসমিয়া জনজাতিদের পক্ষে প্রতিকূল’ এলাকাগুলিতে ‘ভারতীয় নাগরিকদের’ অস্ত্রের লাইসেন্স দেবে। মন্ত্রিসভা ‘জাতি, মাটি (জমি) এবং ভেটি (মাতৃভূমি)’ রক্ষার জন্যই এই কাজ করছে। হিমম্তের ব্যাখ্যা, “অসমের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং সংবেদনশীল। ভূমিপুত্রদের সাহস ও সুরক্ষা জোগাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)