Advertisement
E-Paper

‘আমি বেঁচে থাকতে অসমে আর বাল্যবিবাহ হবে না’, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ‘শপথ’ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের

এই নিয়ে এক্স (সাবেক টুইটার)-এও সরব হয়েছেন হিমন্ত। তিনি লিখেছেন, নিরীহ মুসলিম শিশুদের জীবন নিয়ে কাউকে খেলতে দেবেন না। অসমে আর একটিও বাল্যবিবাহ হতে দেবেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৭
image of himanta Biswa Sharma

হিমন্তবিশ্ব শর্মা। — ফাইল চিত্র।

যত দিন তিনি বেঁচে থাকবেন, রাজ্যে বাল্যবিবাহ হতে দেবেন না। অসমের বিধানসভায় দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। গত শুক্রবার অসমে ১৯৩৫ সালের ‘মুসলিম বিবাহ এবং বিচ্ছেদ নথিভুক্তকরণ আইন’ প্রত্যাহারের প্রস্তাবে সায় দেয় বিজেপি সরকার। সেই আইন ফেরানোর দাবিতে বিধানসভায় সরব হন বিরোধীরা। তখনই এই কথা বলেন হিমন্ত।

কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ ‘মুসলিম বিবাহ এবং বিচ্ছেদ আইন’ নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। সে সময়ই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভাল করে শুনে নিন, যত দিন আমি বেঁচে রয়েছি, অসমে বাল্যবিবাহ হতে দেব না। হিমন্তবিশ্ব শর্মা যতদিন বেঁচে, এ সব হবে না। রাজনৈতিক ভাবে আপনাদের চ্যালেঞ্জ করতে চাই। ২০২৬ সালের আগে এ সব বন্ধ করব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুসলিমদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিয়ে বন্ধ করে দেব।’’

এই নিয়ে এক্স (সাবেক টুইটার)-এও সরব হয়েছেন হিমন্ত। তিনি লিখেছেন, নিরীহ মুসলিম শিশুদের জীবন নিয়ে কাউকে খেলতে দেবেন না। অসমে আর একটিও বাল্যবিবাহ হতে দেবেন না।

সোমবার অসম বিধানসভায় গান্ধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ বিধায়কেরা। তাঁরা দাবি করেন, মুসলিম বিবাহ এবং বিচ্ছেদ আইন রদ করতে হবে। বিধানসভার অধিবেশনে মুলতুবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার দাবিও তোলেন তাঁরা। যদিও স্পিকার সেই দাবি মানেননি। এর পরেই বিরোধী বিধায়কেরা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। এর পর স্পিকারের অনুরোধে বিধানসভায় ভাষণ দেন হিমন্ত। তিনি বলেন, ‘‘২০২৬ সালের মধ্যে সমস্ত দোকান (কাজি ব্যবস্থা) বন্ধ করে দেব।’’ এর পরেই কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান বিরোধী বিধায়কেরা। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, বিধানসভার ভিতরে তাঁদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। মাইক বন্ধ করে রাখা হয়।

Himanta Biswa Sharma Assam Marriage Divorce
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy