Advertisement
E-Paper

পুরনো তিন মন্দির সংরক্ষণ অসমে

ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া অসমের তিনটি মন্দির সংরক্ষণে ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য প্রত্ন দফতর। তিনটি মন্দিরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:২৪
সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শুরুর আগে। — নিজস্ব চিত্র

সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শুরুর আগে। — নিজস্ব চিত্র

ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া অসমের তিনটি মন্দির সংরক্ষণে ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য প্রত্ন দফতর। তিনটি মন্দিরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই শুরু হবে আগের চেহারা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রাথমিক কাজ। মন্দির তিনটি হল— কামরূপের মদন কামদেব, গোলাঘাটের দেওপাহাড় ও নাগাঁওয়ের শঙ্খদেবী। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রিপোর্ট তৈরির জন্য মন্দিরপিছু বরাদ্দ হয়েছে ৪ লক্ষ টাকা।

কামরূপের বাইহাটা চারিয়ালিতে মদন কামদেবের মন্দির অসমের খাজুরাহো বলে খ্যাত। পাহাড়ার মাথায় থাকা নবম-দশম শতাব্দীর মন্দির চত্বরে আপাতত ভিত, খিলান ও বহু নকশা কাটা মন্দিরের অংশ আছে। ওই চত্বরে প্রায় ২০টি মন্দির ছিল। মূল মন্দির ছিল চৌকো। সব প্রস্তরখণ্ডে মানুষ ও পশুর বিভিন্ন নকশা খোদাই করা রয়েছে। দেওপর্বত বা দেওপাহাড়ে একাদশ শতাব্দীর মন্দিরের ভগ্নাবশেষ ছড়িয়ে আছে পাহাড়ের মাথায়। একপ্রস্তরের জমিনে পদ্মাকৃতি চূড়া ছিল ওই মন্দিরের। নগাঁওয়ের শঙ্ঘদেবীও নবম-দশম শতাব্দীর মন্দির। জুগিজানে কপিলির তীরে রয়েছে তার ধ্বংসাবশেষ। সেখানে তিনটি ঢিবি ও তিনটি মন্দির আছে। মাটি খুঁড়ে মিলেছে দুর্গামূর্তি। মন্দির থেকে পাথরের সিঁড়ি নেমেছে নদী পর্যন্ত।

দফতর সূত্রে জানানো হয়, রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করে মন্দিরগুলির আগের চেহারা আঁচ করা হবে। যে সব নকশার অনেকটা অংশ মিলেছে তাদের উধাও অংশ অন্য পাথরে একই নকশা অনূসরণ করে ফুটিয়ে তোলা হবে। মন্দিরের মূল কাঠামো ফের পাথর দিয়ে তৈরি করা হবে। আগেকার নির্মাণশৈলি অনুসরণ করে খিলাম ও বিম ব্যবহার করে পাথরের ছাদও গড়া হবে। প্রয়োজন হলে আশপাশের অংশে আরও খনন চালানোও হতে পারে।

geological department Assam ruins Temples
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy