নবকুমার সারানিয়া ফাইল চিত্র।
অসমের এক নির্দল সাংসদকে তৃণমূলে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে অসমের কোকরাঝাড়ের নির্দল সাংসদ নবকুমার সারানিয়াকে। বিধানসভার নির্বাচনে তৃতীয়বার জয় পাওয়ার পর দায়িত্ব নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘এবার কোনও রাজ্যে তৃণমূলের শাখা সংগঠন বিস্তার করা হলে কেবলমাত্র তিন-চারজন বিধায়ক জেতা আমাদের লক্ষ্য হবে না। আমাদের লক্ষ্য হবে সেই রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা।’’ সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই পশ্চিমবঙ্গে ভোট জয়ের পর মন্ত্রিসভা গড়ে সরকার কাজ করতে শুরু করার পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন তৈরির কাজে হাত দিয়েছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁদের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি। যেমন ত্রিপুরা বা অসম। সেই লক্ষ্যেই প্রস্তাব গিয়েছে অসমের কোকরাঝাড়েরর নির্দল সাংসদের কাছে।
তাঁর কাছে যে তৃণমূলে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছে, তা স্বীকারও করে নিয়েছেন কোকরাঝাড়ের নির্দল সংসদ সদস্য নবকুমার। সোমবার প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘অসমের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল। তাঁরা এ বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে এখনই চূড়ান্ত ভাবে কিছু বলার সময় আসেনি। আমি তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখেছি, তাঁরা অসমে তাঁদের দলীয় সংগঠন বাড়াতে আগ্রহী। পাশাপাশিই তাঁরা আগামী নির্বাচনগুলিতে আমাদের রাজ্যে ভাল ফল করার উদ্যোগ নিতে শুরু করেছেন তারা। তাই আমিও তাঁদের প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছি।’’
সংসদের বাদল অধিবেশনে যোগ দিতে এখন দিল্লিতেই রয়েছেন কোকরাঝাড়ের নির্দল সাংসদ। দিল্লিতে সংসদের অধিবেশনের অবকাশে যে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে তাঁর যোগদানের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে, সে কথাও জানিয়েছেন নবকুমার। তিনি বলেন, ‘‘সংসদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য আমি এখন দিল্লিতে আছি। তৃণমূলের সাংসদরাও অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লিতে এসেছেন। আশা করছি এখানেই ফলপ্রসূ আলোচনা হবে।’’ প্রসঙ্গত, বাদল অধিবেশন চলাকালীন ২৬ জুলাই দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। চারদিনের কর্মসূচি নিয়ে তিনি দিল্লিতে যাবেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। ফলে দিল্লিতে মমতার সঙ্গেও অসমের নির্দল সাংসদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy