পি চিদম্বরম এবং পবন বর্মা। ফাইল চিত্র।
গোয়ায় বিধানসভা ভোটের আগে ফের তৃণমূলের তরফে বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে কংগ্রেসের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলল। তৃণমূল নেতা পবন বর্মার দাবি, বিজেপির বিরুদ্ধে জোট গড়ার জন্য ‘সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব’ নিয়ে তিনি গোয়ার বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক পি চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কিন্তু ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পবন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমি গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টায় দিল্লিতে চিদম্বরমের বাড়ি গিয়েছিলাম। জানিয়েছিলাম, আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিরোধী জোট গড়ার পক্ষে। তাঁকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবও দিয়েছিলাম।’’ প্রসঙ্গত, চিদম্বরম এক আগে জানিয়েছিলেন, গোয়ায় বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের জন্য কংগ্রেসের কাছে তৃণমূলের তরফে কোনও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আসেনি।
গোয়ায় সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বৃহস্পতিবার পবনের মন্তব্যের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘‘চিদম্বরমকে সম্মান করি, কিন্তু তিনি মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছেন। উনি বিশিষ্ট আইনজীবী। যদি পবন অসত্য অভিযোগ করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন।’’
গত সপ্তাহে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে গোয়ায় কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তার পর দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, বিহারের নেতা পবন গত নভেম্বরে দিল্লিতে মমতা উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন। রাজ্যসভার প্রাক্তন জেডি(ইউ) সাংসদ পবন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি। এক সময় তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পরামর্শদাতা দলেরও সদস্য ছিলেন। নীতীশের বিজেপি-ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধিতা করে ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি জেডি(ইউ) থেকে বহিষ্কৃত হন। ঘটনাচক্রে, সেই দিনেই নীতীশ বহিষ্কার করেছিলেন পিকে-কে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy