স্বামীর ছবি নিয়ে দলবীর (ডান দিকে) এবং তাঁর শাশুড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
জঙ্গি বলে মেরে দিয়েছিল পুলিশ। দীর্ঘ আইনি যুদ্ধের পর পুলিশের তরফেই স্বীকার করে নেওয়া হল যে, জঙ্গি সন্দেহে ভুয়ো সংঘর্ষে তারা মেরেছিলেন এক নিহত যুবককে!
পঞ্জাবের গুরুদাসপুরের সুখপাল সিংহ যখন মারা যান, তখন তাঁর স্ত্রী দলবীর কৌরের বয়স মাত্র ১৯। তখন তিনি দু’মাসের সন্তানসম্ভবাও বটে। স্বামীকে মিথ্যা অভিযোগে খুন করা হয়েছে— এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, তাঁরা গুরনাম সিংহ বান্দালা নামের এক জঙ্গিকে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিকেশ করেছে। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে ১৯৯৮ সালে ওই জঙ্গিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তার পরেই মৃত স্বামীকে কী কারণে মারা হল, তা জানতে একের পর আদালতের দোরে ঘুরতে থাকেন দলবীর। এ বিষয়ে দলবীর পাশে পান তাঁর শাশুড়িকে।
১৯৯৪ সালের এই ঘটনায় ২০০৭ সালে পঞ্জাব পুলিশের অতিরিক্ত ডিজির নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১০ সালে দলবীর স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেন। তার পরেই বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে পঞ্জাব পুলিশ। গত ১০ ডিসেম্বর পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে পুলিশ জানায়, ভুয়ো সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছিল ওই যুবকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy