অহমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৭০। শুধু আরোহীরাই নন, যে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের উপর ভেঙে পড়েছিল বিমানটি, সেখানকারও কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার দু’দিন পর এমনটাই জানাল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। ওই বিমানের ব্ল্যাকবক্স থেকে পাওয়া তথ্য যাচাইয়ের কাজও চলছে বলে জানানো হল।
বিমান দুর্ঘটনার পর পরই তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু হয় বলেই শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন কেন্দ্রীয় অসমারিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু। তিনি জানান, শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ বিমানের ব্ল্যাকবক্সটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেই ব্ল্যাকবক্সের তথ্য যাচাই করা শুরু হয়েছে। কী ঘটেছিল, সেই তথ্য যাচাইয়ের পরই জানা সম্ভব হবে বলে জানান রামমোহন। তাঁর কথায়, ‘‘পাইলট সুমিত সবরওয়ালের শেষ বার্তা ছিল মে ডে। তার পরে আর তাঁর থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।’’ বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (এএআইবি) ঘটনার পর পরই তদন্ত শুরু করেছে। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘এএআইবি বিশ্বাস করে ব্ল্যাকবক্সের তথ্য যাচাই করার পরই বোঝা যাবে দুর্ঘটনার আগে বা পরে ঠিক কী ঘটেছিল। তাদের তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করে আছি।’’
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই কি এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমান ওড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভেঙে পড়ল? গত দু’দিনে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নানা মহলে। রামমোহন জানান, ওই বিমান অহমেদাবাদ থেকে লন্ডন যাওয়ার আগে আরও দুই রুটে যাত্রা করে। প্যারিস থেকে দিল্লি, তার পরে দিল্লি থেকে অহমদাবাদ। এই দুই ক্ষেত্রেই কোনও সমস্যা হয়নি। অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১টা ৩৮ মিনিট নাগাদ ওড়ার পর পরই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেটি। ৬২৫ ফুট উঁচু থেকে নীচের দিকে নামতে শুরু করে ওই বিমানটি।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্তকারী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। এই কমিটি শুধু দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করবে না, একই সঙ্গে নিরাপত্তা-সহ বিভিন্ন দিকও খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান রামমোহন। তাঁর কথায়, ‘‘এটা কঠিন সময়। আমাদের কাছে যাত্রী সুরক্ষাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তা নিশ্চিত করতে সব রকম ব্যবস্থা করা হবে।’’