Advertisement
E-Paper

‘বিকট শব্দে বিস্ফোরণ, তার পরই বিমানের একটি ভাঙা অংশ ছিটকে পড়ল গাড়িতে’! বর্ণনা দিতে গিয়ে শিউরে উঠলেন প্রোমোটার

এক সংবাদমাধ্যমকে রেশমি জানান, কয়েক সেকেন্ডের এ দিক ও দিক হলেই তিনি আজ বেঁচে থাকতেন না। কারণ যে রাস্তা দিয়ে তিনি যাচ্ছিলেন, সেই রাস্তাতেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৫ ১৪:০২
দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই বিমান। ছবি: পিটিআই।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই বিমান। ছবি: পিটিআই।

প্রতি দিনই তিনি গাড়ি নিয়ে অহমদাবাদের ঘোড়া ক্যাম্প রোড হয়ে শাহিবাগে যান। বৃহস্পতিবারেও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু ওই দিন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের পর থেকে নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে ‘ভাগ্যবান’ ব্যক্তি বলেই মনে করছেন রেশমি চৌহান। প্রোমোটারির ব্যবসা রয়েছে তাঁর। কাজের সূত্রেই তাই অহমদবাদের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় তাঁকে। বাড়ি কালাপিনগর এলাকায়। প্রতি দিনই তিনি নিজের গাড়ি নিয়ে শাহিবাগে যান। আর সংক্ষিপ্ত পথে যাওয়ার জন্য ঘোড়া ক্যাম্প রোড হয়েই যান।

রেশমি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার দুপুরে গাড়ি নিয়ে ঘোড়া ক্যাম্প রোডে পৌঁছেছিলাম। ঠিক তখনই কানফাটানো এক আওয়াজ। তার পর বিশাল আগুনের হলকা দেখতে পেলাম। কী হয়েছে বুঝে ওঠার আগেই বিমানের ভাঙা একটি টুকরো ছিটকে গাড়িতে এসে পড়ল। কোনও মতে গাড়ি ঘুরিয়ে প্রাণে বেঁচেছি।’’

এক সংবাদমাধ্যমকে রেশমি জানান, কয়েক সেকেন্ডের এ দিক ও দিক হলেই তিনি আজ বেঁচে থাকতেন না। কারণ যে রাস্তা দিয়ে তিনি যাচ্ছিলেন, সেই রাস্তাতেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। তাঁর গাড়ি থেকে কয়েক ফুট দূরেই বিমান ভেঙে পড়েছিল বলে দাবি রেশমির।

রেশমি বেঁচে ফিরলেও ওই রাস্তাতেই থাকা একটি দোকানে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। মাকে খাবার দিতে গিয়েছিল কিশোর। বিমান পড়ে বিস্ফোরণের ফলে আগুনের হলকায় দগ্ধ হয়ে যায় সেই কিশোর। স্থানীয় সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওড়ার আট মিনিটের মধ্যেই মেঘানিনগরে ভেঙে পড়ে বিমান। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিমানযাত্রী, ক্রু সদস্য, পাইলট এবং বি জে মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া এবং স্থানীয় বাসিন্দা-সহ মোট ২৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Plane Crash
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy