গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করানোর জন্য। ফেরার পথে ট্রেনে সর্বস্ব খোয়ালেন হাওড়ার মুন্সিরহাটের এক দম্পতি। ব্যাগের খোঁজে ট্রেনের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত ছোটাছুটি করে কেঁদে আকুল হলেও কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি। তাঁদের অভিযোগ, টিকিট পরীক্ষক, রেলরক্ষী বাহিনী বা রেল পুলিশ কারও দেখা মেলেনি। এই ঘটনায় রেলে যাত্রী-সুরক্ষা ফের প্রশ্নের মুখে।
ঘটনাটি ঘটেছে ডাউন যশবন্তপুর-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেসে। দম্পতির নাম সুকুমার ও শান্তি দাস। পেশায় হকার সুকুমারবাবু স্নায়ুরোগী আর শান্তিদেবী হৃদ্রোগী। বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করিয়ে বৃহস্পতিবার যশবন্তপুর থেকে ট্রেনে ওঠেন তাঁরা।
সুকুমারবাবু বলেন, “আমার ও স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে মানুষের কাছে হাত পেতে টাকা জোগাড় করেছিলাম। ফেরার ট্রেনে ওঠার কিছু পরেই আমার ব্যাগ চুরি যায়।” এস-৯ কামরার ৪৬ ও ৪৭ নম্বর আসনের যাত্রী ছিলেন তাঁরা। সুকুমারবাবু জানান, স্ত্রীর কাছে ব্যাগপত্র রেখে তিনি ট্রেনের শৌচাগারে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে টিকিট পরীক্ষককে টিকিট দেখাতে গিয়ে দেখেন, ব্যাগটাই নেই। খোঁজাখুঁজি করেও ব্যাগ না-পেয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে দাস দম্পতির। ওই ব্যাগেই নগদ এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, আধার-প্যান-ভোটার কার্ড এবং চিকিৎসার নথিপত্র ছিল বলে জানান সুকুমারবাবু।