ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলার একটি মিশনারি স্কুলে তাণ্ডব চালালেন বজরং দলের কর্মীরা। খ্রিস্টধর্মে ছাত্রদের ধর্মান্তরণ হচ্ছে, এই অভিযোগে।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদের অঙ্ক পরীক্ষা চলার সময় শয়ে শয়ে বজরং দলের কর্মী ঢুকে পড়েন স্কুলে। স্কুল গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন তাঁরা। এলোপাথাড়ি ইট-পাথর ছুড়তে শুরু করেন বজরং দলের কর্মীরা। তাতে স্কুলের কাচের জানলাগুলি ভেঙে যায়। বরাত জোরে বেঁচে যান শিক্ষক ও ছাত্ররা।
সোমবার ঘটনাটি ঘটে বিদিশা জেলার গঞ্জ বসোদা শহরের সেন্ট জোসেফ স্কুলে। ওই স্কুলে ছাত্রদের জোর করে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে, এই অভিযোগ জানিয়ে দিনদুয়েক আগে কয়েকটি পোস্ট হয় সমাজমাধ্যমে। তার পরেই এই হামলা।
মোবাইল ফোনে তোলা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, স্লোগান দিতে দিতে বজরং দলের কর্মীদের স্কুল ঘিরে ফেলতে। এলোপাথাড়ি ইট, পাথর ছুড়তে। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে।
আতঙ্কিত এক ছাত্র পরে বলেছেন, ‘‘ভয়ে আমরা সিঁটিয়ে ছিলাম। পরীক্ষায় মনোযোগ দিতে পারিনি। আবার আমাদের অঙ্ক পরীক্ষা নেওয়া হোক।’’
স্কুলের ম্যানেজার ব্রাদার অ্যান্টনি জানিয়েছেন, স্কুলে এমন হামলা হতে পারে বলে এক দিন আগে তাঁকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তার পর তিনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ‘‘কিন্তু পুলিশ তেমন ব্যবস্থা নেয়নি বলেই এই ঘটনা ঘটল’’, অভিযোগ ব্রাদার অ্যান্টনির।
বজরং দলের স্থানীর ইউনিটের নেতা নীলেশ অগ্রবাল ধর্মান্তরণের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘এটা প্রমাণিত হলে স্কুল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।’’ ঘটনার পর এলাকার অন্য মিশনারি স্কুলগুলিতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বিদিশার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট রোশন রাই বলেছেন, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। দোষীরা ছাড় পাবে না। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ধর্মান্তরণের অভিযোগও। এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’
মিশনারি স্কুলটিতে ছাত্রদের ধর্মান্তকরণের অভিযোগটি খতিয়ে দেখার জন্য এর আগে বিদিশার জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছিল শিশু অধিকার সুরক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy