সরকারি টাকা লোপাটের অভিযোগে এক পঞ্চায়েত সচিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন লালার বিডিও সরফরাজ হক। প্রশাসনিক সুত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন ওই ব্লকের নিচবর্নারপুর-সর্বানন্দপুর পঞ্চায়েতের সচিব বদরউদ্দিন লস্কর। লালা থানার পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযোগ, গ্রামোন্নয়নের ৮টি প্রকল্পের বরাদ্দের লক্ষ লক্ষ টাকা নয়ছয় করেছেন বদরউদ্দিন। আগে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতিও ওই পঞ্চায়েতে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা লোপাটের অভিযোগ করেছিল। জেলাশাসকের কাছে সংগঠনের তরফে নালিশও জানানো হয়। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিলেন বিডিও। গত শনিবার ওই পঞ্চায়েত এলাকায় যান সরফরাজবাবু।
তাঁকে সামনে পেয়ে গ্রামের মানুষ বদরউদ্দিন লস্কর এবং পঞ্চায়েত সভানেত্রী শামসুন নেহার বড়ভুঁইঞার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। গ্রামবাসীদের নালিশ, ওই পঞ্চায়েতে রাস্তা, সীমানা দেওয়াল, কমিউনিটি হল তৈরির প্রকল্পে বরাদ্দ প্রায় ১ কোটি টাকার হিসেব তাঁরা পাচ্ছেন না। অভিযোগ ওঠে, কোনও কাজ না করেই সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন পঞ্চায়েত সচিব ও সভানেত্রী।
গ্রামবাসী আব্দুল মালিক লস্কর, রফিক আহমেদ বড়ভুঁইঞা, কবীর হুসেন লস্করের অভিযোগ ছিল, টাকা হাতিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন সচিব। তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সচিব বদরউদ্দিন অসুস্থতার কথা জানিয়ে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। বিজিও সরফরাজবাবু তদন্তের সময় ওই সব অভিযোগের সপক্ষে কিছু তথ্যপ্রমাণ পান। তারপরই তিনি থানায় মামলা রুজু করেন। ওই গ্রামের যুবক তাহের হুসেন বড়ভুঁইঞা ও বদরুল চৌধুরী জানান, নিচবর্নারপুর-সর্বানন্দপুর পঞ্চায়তের সভানেত্রী এবং সচিব গ্রামোন্নয়নের টাকায় রীতিমত হরির লুট চালিয়েছেন। আইনের তোয়াক্কা না করে সরকারি টাকা লোপাট করেছেন। তাঁরা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি তোলেন।
এ বিষয়ে বদরউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বিডিও সরফরাজ হক জানিয়েছেন, ওই পঞ্চায়েতের কয়েকটি প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা সচিব তুলে নিয়েছেন। সাধারণ মানুষ সরব হওয়ার পর তিনি অসুস্থতার কথা জানিয়ে অন্য কোনও জায়গায় চলে গিয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে বলেও বিডিও জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy