কর্নাটকের চন্দ্রহাল্লিতে এক মহিলাকে গাড়িসমেত হ্রদে ডুবিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের হাসন জেলায়।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রবি। তাঁর সঙ্গে শ্বেতা নামে এক মহিলার পরিচয় হয় কর্মস্থলে। রবি বিবাহিত। শ্বেতা বিবাহবিচ্ছিন্না। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শ্বেতা তাঁর বাপের বাড়িতেই থাকতেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, শ্বেতা এবং রবির মধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে শ্বেতাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন রবি।
আরও পড়ুন:
শ্বেতাকে তিনি বলেন, ‘‘তোমার জন্য বৌকেও ছেড়ে দেব।’’ তার পরই বিয়ের প্রস্তাব দেন তাঁকে। কিন্তু রবির সেই প্রস্তাব মানতে চাননি শ্বেতা। বেশ কয়েক বার তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন রবি। কিন্তু প্রতি বারই তাঁকে ‘না’ বলে দেন শ্বেতা। পুলিশ সূত্রে খবর, বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে ক্ষুব্ধ হন রবি। কিন্তু সেই ক্ষোভ শ্বেতাকে বুঝতে দেননি। শ্বেতাকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। শ্বেতাকে ঘোরাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাকেন। তার পর তাঁরা দু’জনে গাড়ি নিয়ে বেরোন। চন্দ্রহাল্লি হ্রদের ধারে যান দু’জনে। তার পর আচমকাই রবি গাড়ি নিয়ে হ্রদে নেমে পড়েন। তিনি গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও শ্বেতা বেরোতে পারেননি। গাড়িসমেত হ্রদের জলে ডুবে যান। স্থানীয়েরাই প্রথমে ঘটনাটি দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে গাড়িটি উদ্ধার করে। তার ভিতর থেকে শ্বেতার দেহও উদ্ধার হয়।
গাড়ির সূত্র ধরে রবির হদিস মেলে। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তখন তিনি দাবি করেন, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হ্রদে পড়ে গিয়েছিল। তিনি সাঁতার জানতেন, তাই কোনও রকমে বেঁচে ফিরেছেন। কিন্তু রবির কথায় সন্দেহ হয় পুলিশের। শ্বেতার পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করে। তার পরই গ্রেফতার করা হয় রবিকে।