ব্যবসার কাজে দিন কয়েক আগে বিহার থেকে দিল্লি গিয়েছিলেন অরুণ মাহাতো। সেখানেই উদ্ধার হল তাঁর দেহ। তদন্তে নেমে পুলিশ এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল মৃত অরুণের। সে কারণেই তাঁকে খুন করেন মহিলার স্বামী সুশীল। দিল্লিতে নবীন নামে এক বন্ধুর সঙ্গে থাকছিলেন অরুণ। অভিযুক্ত সম্পর্কে নবীনের মামা।
পুলিশে জানিয়েছে, গত ২১ মে হউস খাস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অনিল কুমার। তিনি জানান, গত ১৬ মে তাঁর ভাই অরুণ বিহার থেকে দিল্লি এসেছিলেন। দিন কয়েক পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান। বিহারে অরুণের অ্যালুমিনিয়ামের দোকান রয়েছে। সেই ব্যবসার কাজেই দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ময়দানগঢ়ি এলাকায় নবীন নামে এক বন্ধুর সঙ্গে ছিলেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে।
আরও পড়ুন:
পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) অঙ্কিত চৌহান জানান, ২২ মে ময়দানগঢ়ির জঙ্গল থেকে একটি পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি অরুণের বলেই শনাক্ত করা হয়। পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। দিল্লিতে যাঁর বাড়িতে অরুণ ছিলেন, সেই নবীনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু পুলিশ। তিনি জানান, এক মহিলাকে ফোন করতেন অরুণ। এর পরেই পুলিশ অনুমান করে, নবীনের মামা সুশীলের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অরুণের। সুশীল এবং তাঁর স্ত্রীকে আটক করে জেরা করতেই তাঁরা খুনের কথা স্বীকার করেন। সুশীল জানান, স্ত্রীর সঙ্গে অরুণের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তাঁর মাথার ঠিক ছিল না। তিনি স্ত্রীকে দিয়ে অরুণকে নির্জন জায়গায় ডাকিয়ে পাঠান। তার পরে খুন করেন। দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।