বিহারে হাসপাতালের আইসিইউতে ঢুকে খুনের মামলায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম বিজয়কান্ত পাণ্ডে ওরফে রূদ্র পাণ্ডে এবং রাজেশ যাদব। উভয়েই বিহারের বক্সার জেলার বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ২০০ গ্রাম হেরোইনও পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচ আততায়ীর মধ্যে অন্যতম বিজয়কান্ত। এই নিয়ে পটনার হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ন’জনকে গ্রেফতার করা হল। ধৃতদের মধ্যে চার জন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত। বাকিরা তাঁদের সাহায্য করতেন। তবে এক আততায়ী এখনও পলাতক।
গত ১৭ জুলাই পটনার এক হাসপাতালের আইসিইউতে প্রবেশ করে গুলি করে চন্দন মিশ্রকে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। চন্দন নিজেও দুষ্কৃতী। খুনের মামলায় আসামি। সম্প্রতি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় আগেই কলকাতা থেকে চার জনকে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশ। হাসপাতালে পুলিশি নজরদারি থাকার পরেও কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ওই বিতর্কের আবহে পাঁচ পুলিশকর্মীকে নিলম্বিতও করা হয়।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার পটনা থেকেই বিজয়কান্ত এবং রাজেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাজেশকে জেরা করে মাদক কারবারেরও তথ্য পান তদন্তকারীরা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পটনা থেকেই ১৯০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। পটনার সিনিয়র পুলিশ সুপার কার্তিক কে শর্মা জানান, পাঁচ আততায়ীদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আততায়ীকেও শীঘ্রই পাকড়াও করা হবে।
আরও পড়ুন:
এর আগে তিন আততায়ী তৌসিফ ওরফে বাদশা, বলবন্ত কুমার এবং রবিরঞ্জন কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার আরও এক আততায়ী ধরা পড়লেন। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজেশ সরাসরি খুনে জড়িত না থাকলেও, তিনি ওই একই দুষ্কৃতীদলের সঙ্গে যুক্ত। আততায়ীদের সাহায্যও করেছিলেন তিনি। বিহার পুলিশ জানিয়েছে, আততায়ীদের অস্ত্রের জোগান দিয়েছিলেন রাজেশ।
এই মামলায় প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছিল, অন্যতম মূল অভিযুক্ত তৌসিফকে পটনা থেকেই ধরা হয়েছে। যদিও পরে বিহার পুলিশ জানায়, কলকাতায় হানা দিয়ে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে তৌসিফও রয়েছেন। কলকাতা থেকে গ্রেফতার হন তৌসিফের তুতো ভাই নিশু খান এবং তার আরও দুই সহযোগী হর্ষ এবং ভীমও। এ বার ওই ঘটনায় পটনা থেকে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল বিহার পুলিশ।