এই ধরনেরই ডাকোটা বিমান ব্যবহার হত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শাঁস কেটে নেওয়া হলে নারকেল মালার কথা মনে রাখে না কেউ। ওড়িশার এক শিল্পী অবশ্য সেই ফেলে দেওয়া নারকেল মালাকেই রূপ দিলেন শিল্পের। যা দেখেও বিশ্বাস করতে পারছেন না দর্শকেরা।
শিল্পী বলতে সাধারণত যা বোঝায় ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের বিজয় কামিলা তা নন। তিনি একজন মেকানিক। বাইক সারানোর পেশা তাঁর। সেই বিজয়ই নিজের বাড়িতে অবসরে স্রেফ শখেই নারকেল খোলা দিয়ে বানিয়ে ফেললেন আস্ত একখানা বিমান! এ বিমানে অবশ্য সওয়ার হওয়া যাবে না। তবে ইঞ্জিন, চাকা, বিমানের পাখা— এমন যাবতীয় নিখুঁতত্বে এক চুল কমতি রাখেননি তিনি।
নারকেলের খোলা দিয়ে যে বিমানটি বিজয় বানিয়েছেন, সেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত একটি সেনা বিমান। যা সাধারণত পরিবহণের কাজে ব্যবহার করত সেনারা। এককালে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়েকও এই ডাকোটা বিমান ব্যবহার করতেন ব্যক্তিগত প্রয়োজনে। বিজয় সেই বিমানই তৈরি করেছেন নারকেলের খোলা দিয়ে। ৩ ফুট ৬ ইঞ্চির বিমানটি অবিকল সেই বৈগ্রাহিক ডাকোটা বিমানের মতোই দেখতে।
বিজয় জানিয়েছেন, এই বিমান বানাতে ২-৩ বস্তা নারকেলের খোলা লেগেছে তাঁর। সময় লেগেছে দু’মাস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যা চেয়েছিলেন, তা তৈরি করতে পেরেছেন বলেই জানিয়েছেন বিজয়। এমনকি, ওই বিমানের চালকের আসনে তিনি ওড়িশার প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী ‘বিজুবাবু’কেই বসিয়েছেন বলে জানান শিল্পী।
বিজয় এর আগেও নারকেল মালা দিয়ে ছোট খাট শিল্প কর্ম করেছেন। তবে এই সৃষ্টিটি করতে পেরে তাঁর সব থেকে ভাল লেগেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিজয়ের বিমানটি তিনি ওড়িশার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজুবাবুর পুত্র নবীন পট্টনায়েককে উপহার দেবেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy