Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Bilkis Bano Case

দু’দিন সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, বিলকিসের ১১ গণধর্ষক আত্মসমর্পণ করলেন গোধরা জেলে

বিলকিসকাণ্ডের ১১ জনকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাত সরকার। পরে সুপ্রিম কোর্টে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল হয় এবং দু’সপ্তাহের মধ্যে অপরাধীদের জেলে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

Bilkis Bano rapists surrender before Gujarat jail as Supreme Court deadline ends

গুজরাতে খুন এবং গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ১১ জন। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:২৩
Share: Save:

আত্মসমর্পণের জন্য বাড়তি সময় চেয়েছিলেন গুজরাত হিংসায় খুন এবং গণধর্ষণকাণ্ডের অপরাধীরা। সু্প্রিম কোর্টে সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। ধর্ষকদের দু’দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। রবিবার রাতে আত্মসমর্পণ করলেন ১১ জনই। গুজরাতের পঞ্চমহল জেলায় গোধরা সাব-জেলে গিয়ে ধরা দিয়েছেন তাঁরা।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দু’টি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে গোধরা জেলের সামনে উপস্থিত হন বিলকিস বানো মামলার ১১ অপরাধী। রবিবারই শেষ হয়েছে তাঁদের আত্মসমর্পণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা।

বিলকিসকাণ্ডের ১১ জনকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাত সরকার। গত ৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট জানায়, গুজরাত সরকারের ওই সিদ্ধান্ত এক্তিয়ার-বহির্ভূত। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের পর্যবেক্ষণ ছিল, জালিয়াতি করে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কারণ ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ারই ছিল না গুজরাত সরকারের। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় যে, খুন এবং ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনকেই দু’সপ্তাহের মধ্যে জেলে ফিরে যেতে হবে। আত্মসমর্পণ করতে হবে তাঁদের।

এর পরেই অপরাধীদের কয়েক জন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জানান, আত্মসমর্পণ করার জন্য তাঁদের আরও কিছুটা সময় দেওয়া হোক। কেউ জানান, তিনি অসুস্থ। কেউ আবার ছেলের বিয়ের কারণ দেখান। একজন শীতে ফসল কাটতে যাবেন বলেও জানিয়েছিলেন আদালতে। অপরাধীদের সেই আর্জি খারিজ করে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোনও বাড়তি সময় দেওয়া হবে না তাঁদের। নির্ধারিত দিনেই তাঁদের জেলে ফিরতে হবে।

২০২২ সালের ১৫ অগস্ট ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে খুন এবং গণধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে জেলে ‘ভাল আচরণ’ করার যুক্তি দিয়ে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। তার আগে, মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ওই অপরাধীরা। বিজেপি শাসিত গুজরাত সরকার ১১ অপরাধীর মুক্তির পক্ষে সওয়াল করে। এর পরই ১১ জনকে ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় আদালত। সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্রও মিলেছিল। পরে শীর্ষ আদালত জানায়, মুক্তির সিদ্ধান্ত গুজরাত সরকার নিতে পারে না। তাই মুক্তি বাতিল হয়।

(সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই আনন্দবাজার অনলাইন কোনও ধর্ষিতা বা ধর্ষণের অভিযোগকারিণীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করে না। কিন্তু বিলকিস বানো মামলায় শীর্ষ আদালত তার রায়ের যে প্রতিলিপি সর্বসাধারণের জন্য তাদেরই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে, সেখানে নির্যাতিতার নামোল্লেখ রয়েছে। এ নিয়ে আপত্তি তোলেননি স্বয়ং বিলকিসও। এই বিশেষ ও ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে আমরা তাই বিলকিস সংক্রান্ত বিভিন্ন খবরে তাঁর নাম গোপন করছি না)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bilkis Bano Gujarat Gang Rape
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE