কুন্নুরের সেই দুর্ঘটনাস্থল। ছবি: এএফপি।
তামিলনাড়ুর নীলগিরি পাহাড়ে সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়তের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘিরে এ বার সেনা এবং বিমাবাহিনীর সমন্বয়ের অভাবের অভিযোগ সামনে এল।
এরই মধ্যে কুন্নুরের কপ্টার দুর্ঘটনার ঘটনায় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার তরফে যৌথ তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। সেই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিংহ।
অভিযোগ, প্রটোকল অনুযায়ী জেনারেল রাওয়তের মতো ভিভিআইপি-র ক্ষেত্রে কপ্টারের আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পর্যবেক্ষণকারী কপ্টার থাকার কথা। কিন্তু দুর্ঘটনার দিন সেখানে অন্য কোনও হেলিকপ্টারের দেখা মেলেনি। যা সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রটোকলের পরিপন্থী।
বায়ুসেনার সুলুর বিমানঘাঁটি সূত্রের খবর, নিয়ম মেনেই রাওয়তের এমআই-১৭ ভি-৫ কপ্টারের আগে আবহাওয়া ও অন্যান্য সুরক্ষা সংক্রান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য দু’টি ছোট কপ্টার পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেনাবাহিনীর ‘মাদ্রাজ রেজিমেন্টাল সেন্টার’ সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। ফলে বুধবার দুপুরে ওয়েলিংটনের ‘ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ’-এর উদ্দেশে রওনা দেয় শুধু মাত্র রাওয়তের কপ্টার।
প্রকাশিত অন্য একটি খবরে দাবি, বুধবার রাওয়তের কপ্টারের উড়ানের আগে দু’টি ছোট কপ্টার নীলগিরি পাহাড়ের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে গিয়েছিল। কিন্তু তারা ওয়েলিংটনের হেলিপ্যাড না ছুঁয়েই ফিরে আসে। যদিও সেনা বা বায়ুসেনার তরফে সে খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।
সেনার ‘মাদ্রাজ রেজিমেন্টাল সেন্টার’-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আধুনিক এমআই-১৭ ভি-৫ কপ্টারের সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁরা এতটাই নিশ্চিত ছিলেন যে ‘স্কাউটিং কপ্টার’ পাঠানোর প্রয়োজন মনে করেননি। এই ঘটনায় বায়ুসেনা এবং সেনার সমন্বয়ের অভাব দেখছেন প্রাক্তন সেনাকর্তাদের অনেকে।
সাধারণ ভাবে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি-দের কপ্টারের সামনে এবং পিছনে আরও তিনটি-চারটি চপার থাকে। থাকে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি কপ্টারের উপর সম্ভাব্য হামলা ঠেকানোর প্রস্তুতিও। নিয়ম মতো সেনা সর্বাধিনায়কের (সিডিএস) উড়ানের আগেও পর্যবেক্ষণকারী কপ্টার থাকার কথা। কিন্তু যে সেই প্রটোকল যে মানা হয়নি, কুন্নুরের কপ্টার দুর্ঘটনার পর তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy