রাতভর অপারেশনে কংগ্রেসের আশায় জল ঢেলে দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। নিশ্চিত করলেন হরিয়ানায় ফের দলের ক্ষমতায় আসা। আজ সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন, ‘‘বিজেপি এবং দুষ্মন্ত চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টি মিলে সরকার গড়বে। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী, দুষ্মন্তের দলের উপমুখ্যমন্ত্রী।’’
৭৫টি আসন জেতার লক্ষ্য নিয়ে আসরে নেমে মনোহরলাল খট্টরের রাজ্যে বিজেপি পেয়েছে ৪০টি আসন। কংগ্রেস ৩১টি। সরকার গড়তে দরকার ৪৬ জন বিধায়কের সমর্থন। ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় ‘কিং-মেকার’ হিসেবে উঠে এসেছিলেন আইএনএলডি থেকে বেরিয়ে নতুন দল গড়া দুষ্মন্ত। তাঁকে পাশে পাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন রাজ্যের কংগ্রেস নেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা। তার পরেও অবশ্য অন্তত পাঁচ নির্দলের সমর্থন দরকার হত কংগ্রেসের।
শাহ কিন্তু খেলা শুরু করলেন উল্টো পথে। প্রথমেই নির্দলদের ‘টার্গেট’ করলেন তিনি। কাল রাতেই কয়েক জন নির্দল বিধায়ককে বিশেষ বিমানে দিল্লি নিয়ে আসা হয়। যাঁদের মধ্যে ছিলেন বিতর্কিত গোপাল গয়াল কান্ডা। রাত তিনটে পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন শাহ। আজ সকালে দেখা যায়, ৭-৮ জন নির্দল চলে এসেছেন বিজেপির পাশে। এর মধ্যে অবশ্য বিতর্ক বাধে কান্ডাকে নিয়ে। বিরোধী শিবির তো বটেই, তাঁকে নিয়ে আপত্তি তোলেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতীও কিন্তু কান্ডাকে ছাড়াও সরকার গঠনে এখন বাধা নেই বিজেপির সামনে।