নির্বাচনে কি লড়বেন আডবাণী, জোশীরা?—ফাইল চিত্র।
বয়স ৭৫ পেরোলে মিলবে না মন্ত্রিত্ব। ঘোষণা হয়ে গিয়েছে আগেই। এরপরও কি নির্বাচনে লড়বেনআডবাণী, জোশীরা? তাঁদের উপরই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিল বিজেপি। চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়েছে তাঁদের। সম্প্রতি দলীয় সূত্রে বিষয়টি সামনে এসেছে। বিজেপি নেতাদের দাবি, বয়স ৭৫ পেরিয়ে গেলে মন্ত্রিত্ব পাবেন না নেতারা। তবে নির্বাচনে দাঁড়াতে কোনও বাধা নেই। সব জেনেও কেউ নির্বাচনে লড়তে চাইলে, বাধা দেবে না দল।
তবে আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই বিজেপির তরফে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরপ্রদেশে এতদিন বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক ছিল উচ্চবর্গের মানুষ। কিন্তু এ বার সেখানে ভাগ বসানোর জন্য কোমর বেঁধে নামতে চাইছে কংগ্রেস। আর তাই ভেবেচিন্তেই রাজ্যের পূর্ব ভাগের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর হাতে।এ রকম পরিস্থিতিতে হাওয়া নিজেদের দিকে ধরে রাখতেই লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী এবং কলরাজ মিশ্রর মতো প্রবীণ নেতার জনপ্রিয়তাকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছেন মোদী-শাহ।
দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সদস্য লালকৃষ্ণ আডবাণী ও মুরলী মনোহর জোশী। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৯১ ও ৮৪ বছর। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিজ নিজ কেন্দ্র থেকে দু’জনেই জিতে ফিরেছিলেন। গুজরাতের গাঁধীনগর থেকে জিতেছিলেন আডবাণী। নরেন্দ্র মোদীকে নিজের বারাণসী কেন্দ্র ছেড়ে দিয়ে কানপুর থেকে জেতেন জোশী। কিন্তু তা সত্ত্বেও অভিযোগ উঠছে, শুরু থেকে তাঁদের ‘ব্রাত্য’ করে রেখেছে মোদী সরকার।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে অস্ত্রের বরাত! হলদিয়ার অস্ত্র কারখানার পর্দাফাঁস করল এসটিএফ
সাংসদ পদটি ছাড়া এই মুহূর্তে রাজনীতিতে সেই অর্থে কোনওসক্রিয় ভূমিকা নেই আডবাণী-জোশীর। সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে জয়ের পর লোকসভার অধ্যক্ষ পদটি পেতে ইচ্ছুক ছিলেন আডবাণী। কিন্তু সুমিত্রা মহাজনকে তাঁর কাঙ্খিত পদটি দিয়ে দেন মোদী-শাহ। আর আডবাণী-জোশীর ঠাঁই হয় বিজেপির মার্গদর্শক মণ্ডলী-তে, উপদেষ্টা হিসাবে। কিন্তু গত চার বছরে ওই কমিটির একটাও বৈঠক হয়নি। দলীয় সিদ্ধান্তে তাঁদের কোনও মতামতটুকু পর্যন্ত চাওয়া হয় না। সেই নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই মোদী-শাহকে বিঁধছেন মুরলী মনোহর জোশী। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে সমালোচনায় সরব হয়েছেন।
আরও পড়ুন: অযোধ্যা মামলার শুনানিতে নয়া দুই বিচারপতি
আর এক প্রবীণ নেতা, যশবন্ত সিনহা গতবছরই বিজেপি ছেড়েছেন। আসন্ন নির্বাচনে লড়বেন না বলে ইতিমধ্যে ঘোষণা করে দিয়েছেন সুষমা স্বরাজ এবং উমা ভারতীও। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, যার জেরে প্রবীণ নেতাদের প্রতি বিজেপির আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy