দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শালিমার বাগের বিধায়ক রেখা গুপ্তকে বেছে নিলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব! বুধবার সন্ধ্যায় নবনির্বাচিত বিধায়কদের সামনে পরিষদীয় দলের প্রধান হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রামলীলা ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী রেখা-সহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যেরা শপথ নেবেন।
বণিক সমাজের প্রতিনিধি রেখা একদা সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির নেত্রী ছিলেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি পদের নির্বাচনেও জিতেছিলেন তিনি। তবে এই প্রথম বার বিধায়ক হলেন তিনি। নয়াদিল্লি আসনে আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে হারানো প্রবেশ বর্মা বুধবার পরিষদীয় দলের বৈঠকে রেখার নাম প্রস্তাব করেন। ঘটনাচক্রে, ১৯৯৮ সালে দিল্লির ক্ষমতা হারানোর সময়ও বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন এক মহিলা নেত্রী— সুষমা স্বরাজ।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করতে বুধবার সকালে বিজেপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক মঞ্চ ‘সংসদীয় বোর্ডের’ বৈঠক হয়। তবে ওই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, সে বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল কিছুই জানায়নি। সেখানে ‘কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক’ হিসাবে রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং ওমপ্রকাশ ধনখড়ের নাম ঘোষিত হয়। সন্ধ্যায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে নবনির্বাচিত বিধায়কদের সামনে আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম ঘোষণা করেন দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, ২৭ বছর পরে ফের দিল্লির ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয়েছে ৪৮টি আসনে। অন্য দিকে, টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর হেরে গিয়েছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)। তারা পেয়েছে মাত্র ২২টি আসন। কেজরীওয়াল নিজের নয়াদিল্লি কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ বর্মার কাছে হেরে গিয়েছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারির গণপর্বের ১১ দিন পরে অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রেখার নাম ঘোষণা করল ‘পদ্ম’শিবির। সুষমা, শীলা দীক্ষিত, আতিশী মার্লেনার পরে দিল্লি পেল চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।