রাজ্যসভায় অসম থেকে আবার বাঙালি প্রতিনিধি পাঠানোরই সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। মিশনরঞ্জন দাসের মেয়াদ ফুরোতেই তাঁর জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে কণাদ পুরকায়স্থকে। কণাদ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থের একমাত্র পুত্র। পুত্রের মনোনয়নে আবেগাপ্লুত হয়ে নবতিপর পিতা কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘‘কণাদ মানুষের পাশে থেকে দলের কার্যকর্তা হয়ে উঠেছে। ফলে সাংসদ হিসেবে সে সফল হবে।’’
অসম থেকে দু’জন সাংসদ, মিশনরঞ্জন দাস ও বীরেন্দ্র প্রসাদ বৈশ্য এ মাসে অবসর নিচ্ছেন। বৈশ্য অগপ-র মনোনয়নে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন। পূর্বশর্ত মেনে এ বারও বিজেপি-অগপ আসন ভাগাভাগি করে নেয়। অগপ অবশ্য এখনও নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। বিরোধীরাও এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি। তারা প্রার্থী দিলেও অবশ্য ভোটের হিসেবে বিজেপির প্রদেশ কমিটির সম্পাদক কণাদের জয় দিন কয়েকের অপেক্ষামাত্র। অসমের দুই আসনে ভোটগ্রহণ রয়েছে আগামী ১৯ জুন। সোমবার মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন।
অসমে রাজ্যসভায় মোট সাতটি আসন রয়েছে। কংগ্রেস আমলে একটি আসন বঙ্গভাষী প্রধান বরাক উপত্যকার জন্য অলিখিত ভাবে নির্দিষ্ট ছিল। ১৯৫৭ সালে এই উপত্যকা থেকে প্রথম রাজ্যসভার সদস্য হন সুরেশ দেব। মহীতোষ পুরকায়স্থ, নৃপতিরঞ্জন চৌধুরী, কমলেন্দু ভট্টাচার্য ও কর্ণেন্দু ভট্টাচার্যের পরে এই ধারায় ব্যতিক্রম ঘটে। কংগ্রেস এক বার সন্তোষমোহন দেবকে প্রার্থী করলেও পরাস্ত হন তিনি। গত বছর উপনির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের সময়ে বিজেপি প্রথম বার বরাক উপত্যকার মিশনরঞ্জন দাসকে মনোনীত করে। এ বার কণাদ নির্বাচিত হলে একসঙ্গে বরাক উপত্যকার দু’জন রাজ্যসভায় বসবেন। দু’বারের রাজ্যসভা সদস্য সুস্মিতা দেব পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত হলেও তিনি শিলচরের নেত্রী, সন্তোষমোহন দেবের কন্যা।
১৯৯১ সালে সন্তোষমোহন ত্রিপুরা থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হলে কবীন্দ্র পুরকায়স্থ শিলচরের সাংসদ হয়েছিলেন। সেই বার বরাক উপত্যকার দুই নেতা লোকসভায় ছিলেন। এ বার রাজ্যসভায় থাকবেন তাঁদের পুত্র-কন্যা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)