দিল্লি, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতের পর মহারাষ্ট্র! দেশের পশ্চিম উপকূলের এই রাজ্যে মাত্র দেড় বছর আগে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু রাজ্যের পুরসভা ভোটে এ বার ভরাডুবি হল শাসকদলের। বিপরীতে পুরভোটে ভাল ফল করেছে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রে ১৭টি পুরসভা (নগর পঞ্চায়েত)-এর ভোট ছিল। সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী, এর মধ্যে ৭টি একক ভাবে দখল করেছে কংগ্রেস। বাকি পুরসভায় ফলাফল ত্রিশঙ্কু।
মহারাষ্ট্রের যে পুরসভাগুলিতে ভোট হয়েছে, তার মোট ২৮৯টি আসনের মধ্যে ১০৭টি জিতে প্রথম স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। ২৪টি আসন পেয়ে বিজেপি পৌঁছেছে চতুর্থ স্থানে। মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি হিমাচলেও পুরভোট ছিল। সেখানে কংগ্রেস সরকার নিজেদের দুর্গ ধরে রাখতে সফল। ৫১টির মধ্যে ২৯টি পুরসভা নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছে ১২টি।
মরাঠাওয়াড়া, বিদর্ভ, উত্তর মহারাষ্ট্রের যে সব এলাকায় পুরভোট ছিল, মোদী ঝড়ে সেই এলাকাগুলিতে লোকসভা ও বিধানসভায় ভাল ফল করেছিল বিজেপি। কিন্তু এ বার পুরভোটের ফল বুঝিয়ে দিয়েছে, ওই এলাকা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে মোদী হাওয়া। বরং এখানে নিজেদের পুরনো জমি দখল করে নিতে সফল হয়েছে কংগ্রেস। ১৭টি পুরসভার মধ্যে নান্দের, নন্দুরবার সহ মরাঠাওয়ারায় মোট ৩টি, বিদর্ভের গান্ডোরী, চন্দ্রপুরের মতো ২টি ছাড়াও উত্তর মহারাষ্ট্রের আরও ২টি পুরসভা একক ক্ষমতায় জিতে নিয়েছে কংগ্রেস। ১৭টি পুরসভার মোট ২৮৯টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের পরেই জয়ী শরদ পওয়ারের এনসিপি। তারা পেয়েছে ৫৮টি আসন। ৫৫টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শিবসেনা। ২৪টি আসন পেয়ে শাসকদল বিজেপি চার নম্বরে পৌঁছে গিয়েছে।
রাজ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটের এই জয়ে কংগ্রেস উজ্জীবিত। হিমাচলের জয়ও সনিয়ার দলকে স্বস্তি দিয়েছে। কেননা, দলের প্রধান নেতা মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কিছু দিন আগেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি। কিন্তু কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা এখন দাবি করছেন, বীরভদ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ মানুষ যে মেনে নিচ্ছেন না, পুরভোটের ফল তা দেখিয়ে দিয়েছে।
যদিও মহারাষ্ট্র কিংবা হিমাচলের যে এলাকায় পুরভোট হয়েছে, সেগুলি বড় শহর নয়। সেখানে মোদী হাওয়ার অস্তিত্ব না থাকলেও শহরাঞ্চলের পরিস্থিতি কী, তা নিয়ে চিন্তায় কংগ্রেস নেতারা। কেননা, গুজরাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস গ্রামাঞ্চলে পঞ্চায়েত, ছোট শহরগুলির পুরভোটে ফল ভাল করলেও বড় শহর এলাকায় নিজের প্রভাব ধরে রাখতে পেরেছেন মোদী। এই পরিস্থিতিতে গুজরাতের নতুন নির্বাচিত জেলা পরিষদ সভাপতি ও সদস্যদের সঙ্গে আজ দেখা করেন সনিয়া ও রাহুল গাঁধী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy