—ফাইল চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গকে এক করে একটি দেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে আজ লোকসভায় দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
বাঙালিয়ানাকে প্রাধান্য দিতে তৃণমূল যে কৌশল নিয়েছে, তাকে ব্যঙ্গ করে দিলীপ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যেতে গেলে সেখানে বাংলা শিখে যেতে হবে। এখন মাননীয় সাংসদ হেমাদিদি (মালিনী) যদি গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানে যেতে চান, তবে তাঁকে বাংলা শিখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ বা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কপ্টার যেতে চাইলে তাঁদের নামার অনুমতি দেওয়া হয় না।’’ তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে। কিন্তু ৪২ আসনে জিতে কেউ তো প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন না। এ জন্য উনি ঠিক করেছেন যে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে মিশিয়ে একটা দেশ তৈরি হলে সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন এবং প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন!’’
এর পরেই দিলীপবাবু বলেন, ‘‘জনপ্রিয় নেতা না থাকায় প্রচারের জন্য বাংলাদেশ থেকে অভিনেতা নিয়ে এসেছেন। যেন ওঁরা কেউ বহিরাগত নন। ওই দেশ (বাংলাদেশ) থেকে অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা-যেই আসুক না কেন তারা বহিরাগত নয়। কিন্তু মোদী কিংবা শাহ গেলেই তাঁরা বহিরাগত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা ‘জয় শ্রীরাম’ বলি। এ কোনও ধর্মীয় স্লোগান নয়। কিন্তু তৃণমূলের তরফে পাল্টা বলা হচ্ছে ‘জয় বাংলা’। ওটা তো বাংলাদেশের স্লোগান।’’
সংসদে এই আক্রমণের জবাব দেয়নি তৃণমূল। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় পরে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যখন সঙ্কটমোচনে বাংলাদেশ যান, সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকেও যেতে হয়। স্থলসীমান্ত চুক্তিই হোক অথবা তিস্তা— পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রেরই প্রয়োজন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এই বাংলা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক দিন প্রধানমন্ত্রী হবেন।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy