সাংসদ পদ হারানো রাহুল গান্ধীকে নিশানা বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদের। ফাইল চিত্র।
শীর্ষস্তরের কোনও নেতা নন, রাহুল গান্ধীর অভিযোগের জবাব দিতে নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া রবিশঙ্কর প্রসাদকে সামনে আনল বিজেপি। রাহুলের অভিযোগ, খারিজের পাশাপাশি বিহারের বিজেপি নেতা শনিবার সদ্যপ্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে সহানুভূতি কুড়োনোর কৌশল এবং অনগ্রসর সম্প্রদায়কে অপমানের অভিযোগ তুললেন।
রবিশঙ্করের দাবি, উচ্চ আদালতে আবেদন করে রাহুল যদি সুরাত আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ আনতে পারতেন, তবে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হত না। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কংগ্রেসে তো নামজাদা আইনজীবীর অভাব নেই। তবে কেন উচ্চ আদালতে আবেদন জানানো হল না?’’ এর পর তাঁর অভিযোগ কর্নাটকের আসন্ন বিধানসভা ভোটে রাহুলকে সামনে রেখে সহানুভূতি কুড়োতে চায় কংগ্রেস। তাই এমন কৌশল।
প্রসঙ্গত, ‘মোদী’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে বৃহস্পতিবার রাহুলকে ২ বছরের জেলের সাজা শোনায় গুজরাতের সুরাত জেলা আদালত। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুক্রবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শিল্পপতি গৌতন আদানির ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে সরব হওয়ার কারণেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে বলে শনিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ তুলেছেন রাহুল। পাশাপাশি, শের বিভিন্ন বিমানবন্দরের নিয়ম বহির্ভূত ভাবে আদানিকে লিজ দেওয়া, আদানিদের একটি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংস্থায় রাতারাতি ২০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের ‘উৎস’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
কয়েক মাস আগে শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ পর্ষদের চেয়ারম্যান যে মোদীর বিরুদ্ধে বিদ্যুৎপ্রকল্পের বরাত আদানিকে দেওয়ার জন্য কলম্বোর উপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছিলেন, রাহুল মনে করিয়ে দিয়েছেন সে কথাও। রবিশঙ্কর সুনির্দিষ্ট ভাবে রাহুলের অভিযোগগুলি খণ্ডনের পথে হাঁটেননি। বরং তুলেছেন শিষ্টাচারের প্রশ্ন। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির উদ্দেশে রবিশঙ্করের মন্তব্য, ‘‘সরকারের সমালোচনা করুন, অসম্মান করবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy