বিহারে নির্বাচনের ভরাডুবির পর্যালোচনা করতে আজ ফের দলের সর্বভারতীয় মল্লিকার্জুন খড়্গের বাড়িতে বৈঠক করলেন রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, বৈঠকে দলীয় টিকিট সঠিক প্রার্থীকে বণ্টন করা হয়নি বলে দাবি করেন রাজ্য নেতাদের একাংশ। তা ছাড়াও ভোটের ঠিক আগে নীতীশ কুমারের তরফে মহিলাদের হাতে দশ হাজার টাকা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি কর্নাটকের নেতৃত্ব পরিবর্তন নিয়েও আলোচনা হয়। অন্য দিকে আজ শহুরে নকশালপন্থীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাহুল গান্ধীর তীব্র সমালোচনা করে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
বিহারে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর থেকেই দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও অভ্যন্তরীণ কলহ চরমে। এই আবহে আজ নিজেই গাড়ি চালিয়ে দলীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বাড়িতে বৈঠকে যান রাহুল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিহারের পর্যবেক্ষক কৃষ্ণ আল্লাভুরু ও বিহারের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ রাম। সূত্রের মতে, বৈঠকে ওই রাজ্যে আগামী দিনে একলা চলো নীতি নিয়ে চলা ছাড়াও পরাজয়ের কারণগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরুর ঠিক আগে রাহুল গান্ধীর শহুরে নকশালপন্থীদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানোর মানসিকতার তীব্র সমালোচনা করে সরব হয়েছে বিজেপি। এক্স সমাজমাধ্যমে দলের তরফে বলা হয়েছে, এ দেশে মাওবাদী সমস্যা গত কয়েক দশক ধরে টিকে থাকা ও ব্যাপক আকার ধারণ করার জন্য দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের নীতিপঙ্গুত্বই দায়ী। বিজেপির অভিযোগ, ইউপিএ আমলে বিশেষ করে সনিয়া গান্ধী পরিচালিত জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদে শহুরে নকশালদের প্রতিনিধিত্বের কারণে মাওবাদী আন্দোলন ব্যাপক আকার নেয়। তাদের অভিযোগ, সে সময়ে যখনই সরকার মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়েছে, তখনই উপদেষ্টা পরিষদের শহুরে নকশাল সদস্যেরা তার বিরোধিতা করেছেন। অধিকাংশ সময়েই সনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্বে কাজ করা উপদেষ্টা পরিষদ ওই শহুরে নকশালদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে নিত। যার ফলে মাওবাদীরা প্রবল ভাবে সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও মাওবাদী-বিরোধী অভিযানে বিরতি টানা হত বা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হত। বিজেপির আরও দাবি, নকশালপন্থীদের সমর্থকেরা এখনও কংগ্রেসে রয়ে গিয়েছেন। যাঁরা পিছন থেকে মদত দিয়ে চলেছেন। রাহুলের উদাহরণ টেনে বিজেপির অভিযোগ, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এখনও মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে চলেছেন। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, কংগ্রেস-নকশাল আঁতাঁত দেশের সুরক্ষার জন্য বড় বিপদ। এদের স্বরূপ প্রকাশ করে দিয়ে, এই আঁতাঁতের বিষয়ে তথ্য সামনে আসা উচিত।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)