Advertisement
E-Paper

নিজের দলকেই ৩ খোঁচা শত্রুঘ্নর

টুইট দু’টির একটি খিচুড়ি নিয়ে, অন্যটি ক্ষুধা-অপুষ্টি নিবারণে কেন্দ্রের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে। আর মন্তব্যে নিশানা করেছেন খোদ নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৭ ০২:২৭
শত্রুঘ্ন সিনহা।

শত্রুঘ্ন সিনহা।

টুইটারে দু’টি খোঁচা এবং একটি তীক্ষ্ণ মন্তব্য। রবিবার তা দিয়েই নিজের দল বিজেপিকে বিঁধলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।

টুইট দু’টির একটি খিচুড়ি নিয়ে, অন্যটি ক্ষুধা-অপুষ্টি নিবারণে কেন্দ্রের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে। আর মন্তব্যে নিশানা করেছেন খোদ নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে। বলেছেন, ‘‘ওয়ান ম্যান শো অ্যান্ড টু ম্যান আর্মি— এই ধারণা ছেড়ে বেরিয়ে এলেই নাগরিকদের আশা পূরণ করতে পারবে বিজেপি।’’

বিজেপি নেতা শত্রুঘ্নের হলো কী, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। তিনি কি দল ছাড়তে চান— এই প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই চিত্র তারকা নিজস্ব ঢংয়ে জানিয়েছেন, ‘‘না! ছাড়বো বলে তো দলে আসিনি।’’

আরও পড়ুন: চাকরি দিন, না হলে গদি ছাড়ুন, মোদীকে আক্রমণ রাহুলের

দিল্লিতে ‘ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া’ অনুষ্ঠানে ৯১৮ কিলোগ্রাম খিচুড়ি রান্না নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মাতামাতিতে সামিল হতে যে তিনি নারাজ, সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তেমনই ইঙ্গিত দিলেন ওই বিজেপি সাংসদ। টুইটারে বলেন— ‘বিশ্বরেকর্ড গড়তে অতটা খিচুড়ি তৈরিতে খুশি হলেও ওই খাবার কত জন গরিব মানুষের পেট ভরাতে পারবে এবং কত দিন ধরে সেটা ভাবতে হবে।’ এ দিন দুপুরে সেই টুইটের ঠিক ১০ মিনিট পর ফের মোদী সরকারকে নিশানা করে শত্রুঘ্ন লেখেন— ‘শোনা যাচ্ছে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ভারত ১০০ নম্বরে উঠে এসেছে। ক্ষুধা আর অপুষ্টির নিরিখে আমরা কতটা এগোতে পেরেছি, সেটা জানলেও ভাল হয়!’

শেফ সঞ্জীব কপূরের নেতৃত্বে ওই খিচুড়ি তৈরিতে যোগ দিয়েছিলেন যোগগুরু রামদেব, কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত হরসিমরত কউর বাদল, প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি, প্রথম সারির বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তা, নামী কিছু শেফ। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছিল, ওই খিচুড়ি বিভিন্ন অনাথ আশ্রম এবং গুরুদ্বারে বিতরণ করা হবে।

এখানেই শেষ নয়। এ দিনই পটনায় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শক্রঘ্ন যে ‘ওয়ান ম্যান শো অ্যান্ড টু ম্যান আর্মি’ মন্তব্য করেছেন,— সন্দেহ নেই সেই তিরের নিশানা মোদী আর অমিত শাহই। পটনার বিজেপি সাংসদ এ দিন এ কথাও বলেন, ‘‘যুবসমাজ, কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা দলের উপর খুশি নন বলেই গুজরাত-হিমাচলপ্রদেশে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে আমাদের পড়তে হচ্ছে। বিরোধীদের হালকা ভাবে না-দেখা হলেই ভাল।’’ প্রশ্ন তুলেছেন— লালকৃষ্ণ আডবাণী, যশবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি, মুরলীমনোহর জোশীর মতো বর্ষীয়ান নেতাদের কেন এক কোণে ঠেলে দেওয়া হল? সঠিক পথে এগোলে পাতিদার নেতা হার্দিক পটেলকেও বিজেপি পাশে পেত বলে মনে করেন তিনি।

Shatrughan Sinha Narendra Modi Amit Shah Development BJP শত্রুঘ্ন সিনহা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy