E-Paper

ঝাড়খণ্ডে ‘দুর্নীতি’ নিয়ে পদ্মের খোঁচা কংগ্রেসকে

ঝাড়খণ্ডে সরকারের শরিক কংগ্রেস ও আরজেডি। যারা পাশের রাজ্য বিহারে একসঙ্গে লড়ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৫৩
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ঝাড়খণ্ড সরকারের ‘ডিস্ট্রিক্ট মিনারেল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’ (ডিএমএফ)-এর বিরুদ্ধে প্রায় দু’হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন বিজেপি নেতৃত্ব। ওই রাজ্যে হেমন্ত সোরেন সরকারের শরিক কংগ্রেস। বিজেপির প্রশ্ন, “কংগ্রেস কি ঝাড়খণ্ড থেকে দল চালানোর টাকা তুলছে?”

বিজেপি শিবিরের বক্তব্য, খনি এবং খনিজ সম্পদ (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) সংশোধনী, ২০১৫ অনুযায়ী কোনও জেলা থেকে যে পরিমাণ খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা হয়, সেই মূল্যের ১০ থেকে ৩০ শতাংশ অর্থ সংশ্লিষ্ট জেলার উন্নয়নে খরচ করার নিয়ম রয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র তুহিন সিন্‌হার মতে, ওই টাকা জমা পড়ে ডিএমএফ অছির কাছে। যারা সংশ্লিষ্ট জেলার উন্নয়নমূলক কাজে সেই টাকা খরচ করে। বোকারো জেলায় যে অর্থ খরচ হয়েছে, তার পরিমাণ ৬৩১ কোটি টাকা (২০২৪-২৫)। জেনারেটর, পড়ুয়াদের স্কুলের বোর্ড ছাড়াও অন্যান্য স্কুল সামগ্রীর মতো জিনিস কিনতে সেই অর্থ খরচ হয়েছে। কিন্তু কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) তদন্তে পেয়েছে, সেই ৬৩১ কোটি টাকার মধ্যে ৫০০ কোটি টাকার জিনিসের কোনও হদিস নেই। যে জিনিস কেনা হয়েছে, সেগুলির দাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে।

ঝাড়খণ্ডে সরকারের শরিক কংগ্রেস ও আরজেডি। যারা পাশের রাজ্য বিহারে একসঙ্গে লড়ছে। তুহিন বলেন, “কংগ্রেস কি ওই দুর্নীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, না কি দল চালানোর অর্থ আসছে ঝাড়খণ্ড থেকে? অথচ এরাই বিহারে স্বচ্ছ সরকার গঠনের দাবি করছে। রাহুল গান্ধীর উচিত অভিযোগের জবাব দেওয়া।” কংগ্রেস বলছে, হেমন্ত সোরেন তদন্তের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। তা ছাড়া, ডিএমএফ নজরদারি কমিটির মাথায় থাকেন স্থানীয় সংসদ, বিধায়ক। বোকারো জেলা ধানবাদ লোকসভার অন্তর্গত। সেই কেন্দ্রের সাংসদ বিজেপির। তিনি কী করছিলেন?

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jharkhand BJP Congress

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy