স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে ‘অত্যাচারের’ অভিযোগ তোলার কিছু ক্ষণের মধ্যে এক মহিলা পুলিশকর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার নোয়াপাড়া জেলায়। শনিবার নোয়াপাড়া রেল স্টেশনের কাছে একটি গাছ থেকে ওই মহিলা কনস্টেবলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেই এক ভিডিয়ো বার্তায় স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, গাছ থেকে মহিলার দেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারাই থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কী কারণে ওই মহিলা কনস্টেবেলের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, আত্মহত্যাই করেছেন তিনি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কোনও মন্তব্য করছে না পুলিশ। ইতিমধ্যে ওই মহিলার একটি ভিডিয়ো বার্তাও পুলিশের নজরে এসেছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, মৃত কনস্টেবেলের পরিচত বেশ কয়েক জনের মোবাইলে ওই ভি়ডিয়ো মেসেজটি গিয়েছে। তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা আগেই ভিডিয়ো মেসেজটি পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘অত্যাচারে’র অভিযোগ তুলেছেন মহিলা পুলিশকর্মী। সেই কারণেই তিনি নিজের জীবন শেষ করে দিতে চান। ওই ভিডিয়োটিও যাচাই করে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ভিডিয়ো বার্তাটির প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্যসংগ্রহও করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি দাম্পত্য কলহ এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অত্যাচার সংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই কেরলে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর স্বামী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে। সেখানেও মৃত্যুর ঠিক আগে নিজের মাকে হোয়াট্সঅ্যাপে একটি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন ওই মহিলা। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার ওড়িশায় এক মহিলা পুলিশকর্মীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।