মেঘালয়ে রাজা রঘুবংশীর হত্যাকাণ্ডের ছায়া এ বার অন্ধপ্রদেশেও? বিয়ের এক মাস পরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া যুবকের দেহ উদ্ধার হল খাল থেকে! ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল জেলায়। গত মঙ্গলবার থেকে কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ৩২ বছর বয়সি তেজেশ্বরের। শেষে একটি খালের মধ্যে থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পরিবারের দাবি, তেজেশ্বরের স্ত্রী ঐশ্বর্যের বিবাহ- বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। ঐশ্বর্য তাঁকে খুনের ছক কষছিলেন বলে দাবি পরিবারের।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যে মৃতের স্ত্রী এবং শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। তেজেশ্বরের পরিবারের দাবি, ঐশ্বর্যের মা যে ব্যাঙ্কে কাজ করতেন, সেই ব্যাঙ্কেরই এক কর্মীর সঙ্গে ঐশ্বর্যের প্রেম ছিল। একই সঙ্গে তেজেশ্বরের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ছিল। পরিবারের দাবি, গত ফেব্রুয়ারিতে তেজেশ্বর এবং ঐশ্বর্যের বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু বিয়ের আগে হঠাৎ বেপাত্তা হয়ে যান ঐশ্বর্য। ফলে বিয়ে পিছিয়ে যায়। পরে ঐশ্বর্য আবার বাড়ি ফিরে আসার পরে গত ১৮ জুন দু’জনের বিয়ে দেওয়া হয়।
নিহতের পরিবারের সন্দেহ, ওই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জন্যই তেজেশ্বরকে খুনের ছক কষছিলেন ঐশ্বর্য। নিহতের শাশুড়িও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ তাঁদের। যদিও এ বিষয়ে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি। নিহতের স্ত্রী এবং শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে তারা। তবে তেজেশ্বরের পরিবারের অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন:
মধ্যপ্রদেশের রাজা রঘুবংশী সম্প্রতি মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে খুন হন। তাঁকেও প্রথমে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে পাহাড়ের খাদ থেকে উদ্ধার হয় রাজার দেহ। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে রাজার স্ত্রী সোনমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ সিংহ কুশওয়াহা নামে এক তরুণও। রাজার সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই সোনম এবং রাজের পরিচিতি ছিল। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।