তেলঙ্গানায় সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের ১৬ দিনের মাথায় এক জনের দেহ পাওয়া গেল। সুড়ঙ্গের মধ্যে একটি যন্ত্রে আটকে রয়েছে সেই দেহ। যন্ত্রটি কেটে দেহ বার করার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা। বাকি সাত জন এখনও নিখোঁজ। তাঁরা কী অবস্থায় রয়েছেন, আদৌ বেঁচে আছেন কি না, কিছুই জানা যায়নি। সময় যত এগোচ্ছে, তত তাঁদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হচ্ছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তেলঙ্গানার শ্রীশৈলমে ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের একাংশ আচমকাই ধসে পড়ে। সুড়ঙ্গের সাড়ে ১৩ কিলোমিটার ভিতরে আটকে পড়েন শ্রমিক এবং ইঞ্জিনিয়ারেরা। শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। আটকে পড়া কর্মীদের খোঁজ করতে গত শুক্রবার থেকে সুড়ঙ্গের মধ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর পাঠানো শুরু হয় । উদ্ধার অভিযানে ব্যবহার হয় বিশেষ এক ধরনের রোবটও।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, রবিবারও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দিয়ে আটকে পড়া ব্যক্তিদের খোঁজ শুরু হয় সুড়ঙ্গের ভিতরে। সুড়ঙ্গের ভিতরে কোথাও মানুষের অস্তিত্ব রয়েছে কি না, তা খুঁজে বার করতে বিশেষ পারদর্শী এই সারমেয়দল। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ভারতীয় সেনা, নৌসেনা-সহ ১২টি উদ্ধারকারী দলের মোট ৭০০ জন সদস্য উদ্ধারকাজে নেমেছেন। শ্রমিক এবং ইঞ্জিনিয়ারেরা সুড়ঙ্গের যে অংশে আটকে পড়েন, তার অনেকটাই কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে উদ্ধারকারী দল। কিন্তু সমস্যা তৈরি হচ্ছে কাদাজলের কারণে। উদ্ধারকারী দল সুড়ঙ্গ থেকে জল বার করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ওই অংশটি আবার জলে ভরে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
ফলে বার বার বাধার মুখে পড়েছে উদ্ধার অভিযান। আটকে পড়া শ্রমিক এবং নির্মাণ সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্ধারের জন্য সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। অতীতে সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে সফল ভাবে উদ্ধারকাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ছ’জনকে তেলঙ্গানার শ্রীশৈলমে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের পরামর্শ নেওয়া হয়। কিন্তু জীবিত কাউকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।