জমি এবং বাড়ি নিয়ে বিবাদের জেরে পড়শি এবং কয়েক জন পুরসভার আধিকারিকের বিরুদ্ধে লাগাতার মানসিক নির্যাতন এবং হেনস্থার অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হলেন বেঙ্গালুরুর এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। নিজেরই নির্মীয়মাণ বাড়ির দোতলা থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় মুরলী গোবিন্দরাজুর।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১০ পাতার একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। সেখানে পড়শি শশী নাম্বিয়ার এবং উষার বিরুদ্ধে ক্রমাগত মানসিক নির্যাতন, টাকার জন্য চাপ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছেন। শুধু তা-ই নয়, গ্রেটার বেঙ্গালুরু অথরিটির (জিবিএ) আধিকারিকদের বিরুদ্ধে টাকার জন্য চাপ এবং হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন। প্রসঙ্গত, শশীদের এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ২০১৮ সালে একটি জমি কিনেছিলেন মুরলী। সেই জমিটি শশীদের বাড়ির পাশেই। সেই জমিতেই বাড়ি বানাচ্ছিলেন তিনি। নির্মাণকাজ শুরু হতেই শশীরা বাধা দেন বলে অভিযোগ। তাঁরা দাবি করেন, জিবিএ-র নিয়ম লঙ্ঘন করে বাড়ি বানাচ্ছেন মুরলী। জিবিএ-তে মুরলীর বিরুদ্ধে অভিযোগও জানান শশীরা। তার পরই নির্মাণকাজ আটকে যায়।
মুরলীর পরিবারের অভিযোগ, জিবিএ-তে গিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন তথ্যপ্রযুক্তিকর্মী। কিন্তু অভিযোগ, জিবিএ-র আধিকারিকেরা তাঁর কাছে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। শশীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে জিবিএ-র আধিকারিকেরা লাগাতার হুমকি দেওয়া শুরু করেন। দাবিমতো টাকা পেলে বাড়ি বানাতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়। মুরলীকে সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এত টাকা কোথা থেকে জোগাড় করবেন, তা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন মুরলী। টাকা না পেয়ে বার বার বাড়িতে হানা দিচ্ছিলেন জিবিএ-র আধিকারিকেরা। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার সকালে নির্মীয়মাণ বাড়িতে যান মুরলী। সেখানেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। একটি ১০ পাতার চিঠি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সেখানে প্রতিবেশী শশী, উষা এবং জিবিএ-র কয়েক জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে গিয়েছেন।