মরাঠা সংরক্ষণ বিতর্কে এ বার পদক্ষেপ আদালতের। মরাঠা জনগোষ্ঠীকে ‘কুনবি’ শ্রেণিভুক্ত করে ওবিসি (অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়) কোটার সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি আবেদন বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিল বম্বে হাই কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি শ্রী চন্দ্রশেখর এবং বিচারপতি গৌতম আখড়ের একটি বেঞ্চ উল্লেখ করেছে যে ‘সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা’ (ওবিসি-রা) ইতিমধ্যেই হাই কোর্টে আবেদন করেছেন, যা ২২ সেপ্টেম্বর অন্য একটি বেঞ্চে শুনানি হবে। তা ছাড়া এ ক্ষেত্রে আবেদনকারী নিজে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত না হওয়ায় তাঁর আবেদনের বৈধতা নেই বলেও জানিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন:
গত ২ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের মন্ত্রিসভার সংরক্ষণ বিষয়ক কমিটির বৈঠকে মরাঠাদের ‘কুনবি’ কৃষক সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। জারি হয়েছিল এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি। এর পরেই অনির্দিষ্ট কালের অনশনে ইতি টেনেছিলেন মরাঠা সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতা মনোজ জারাঙ্গে পাতিল। ইতিমধ্যেই মরাঠাদের ‘কুনবি’ শংসাপত্র বিলির প্রক্রিয়া শুরু করেছে মহারাষ্ট্রের বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি (অজিত) জোট সরকার।
আরও পড়ুন:
নতুন নীতি কার্যকর হলে ওবিসি (অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি) কোটায় সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে মরাঠারা ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ওবিসি-দের কয়েকটি সংগঠন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মহারাষ্ট্রের তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে মরাঠাদের জন্য ১৬ শতাংশ ‘বিশেষ সংরক্ষণে’ উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বম্বে হাই কোর্ট। এর পরে , ২০২৩ সালে মহারাষ্ট্রের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে মরাঠা জনগোষ্ঠীকে কুনবি শ্রেণিভুক্ত হিসাবে ওসিবি তালিকায় সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিল পাশ হয়েছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। তাতে শিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রে রাজ্যে মরাঠাদের ‘কুনবি’ শ্রেণিভুক্ত করে তাঁদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে।