সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখাকে অভিন্ন শিক্ষাব্যবস্থার অধীনে আনার সিদ্ধান্ত হল ফোর্ট উইলিয়ামে (বর্তমানে যার নাম ‘বিজয় দুর্গ’) আয়োজিত ‘যৌথ সেনাপতি সম্মেলন ২০২৫’-এ। নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার জন্য একটি অভিন্ন ‘এডুকেশন কোর’ গঠন করা হবে।
বুধবার ছিল সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার কমান্ডারদের সম্মিলিত সম্মেলনের শেষ দিন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, অভিন্ন ‘এডুকেশন কোর’-এর অধীনে তিনটি সংযুক্ত সামরিক কেন্দ্র (জয়েন্ট মিলিটারি স্টেশন) স্থাপন করা হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ বলা হয়েছে। অভিন্ন শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার সমন্বয় ব্যবস্থা আরও সুসংহত করবে বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকেরা।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরেই সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার সমন্বয় নিবিড় করতে তৎপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বর্তমানে ভারতীয় স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার দেশ জুড়ে পৃথক পৃথক কমান্ড রয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল, ‘থিয়েটারাইজ়েশন’ পদ্ধতির মাধ্যমে তিন বাহিনীর ভিন্ন ভিন্ন কমান্ডের পরিবর্তে অভিন্ন ‘থিয়েটার কমান্ড’ গঠন করা। আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের মতো দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার। বাড়বে শত্রুর মোকাবিলার ক্ষমতাও।