Advertisement
E-Paper

সন্তানকে সুস্থ করতে ভরসা তান্ত্রিক, দুর্ভাগ্যজনক বলল হাই কোর্ট, যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা

৪৫ বছরের ব্যক্তি নিজেকে তান্ত্রিক বলে দাবি করে বিশেষ ভাবে সক্ষম কিশোরীদের যৌন নির্যাতন করেছেন। তাদের সুস্থ করে তোলার নামে অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকাও নিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৪ ১১:৪০
Bombay High Court says people going to tantriks unfortunate

—প্রতীকী চিত্র।

অসুস্থ নাবালিকাদের চিকিৎসার নামে শ্লীলতাহানি এবং যৌন নিগ্রহের ঘটনায় এক ‘তান্ত্রিক’কে যাবজ্জীবনের সাজা শোনাল বম্বে হাই কোর্ট। নিম্ন আদালত আগেই ওই নির্দেশ দিয়েছিল। যাকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। হাই কোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাই বহাল রেখেছে।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, আজকের দিনেও মানুষ সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে তান্ত্রিকের কাছে যাচ্ছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এই মামলায় নম্র মানসিকতার কোনও জায়গা নেই। কঠোর ভাবেই এর মোকাবিলা করতে হবে।

অভিযুক্ত ৪৫ বছরের ব্যক্তি নিজেকে তান্ত্রিক বলে দাবি করেন। ছ’জন বিশেষ ভাবে সক্ষম কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিশোরীদের বাবা-মা তাদের সুস্থ করতে ওই তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। তান্ত্রিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিশোরীরা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন। অভিযোগ, সুস্থ করে তোলার নামে নির্যাতিতাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও নিয়েছিলেন ওই তান্ত্রিক। মোট ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা তিনি আদায় করেছেন অভিভাবকদের কাছ থেকে।

বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি রেবতী মোহিতে ডেরে এবং বিচারপতি মঞ্জুষা দেশপাণ্ডের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এটি সম্পূর্ণ অন্ধবিশ্বাসের মামলা। অভিযুক্ত মানুষের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তাঁদের ঠকিয়েছেন এবং যৌন নির্যাতনের মতো অপরাধ করেছেন। তাই তিনি কঠোর শাস্তির যোগ্য।

ওই তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে প্রথম থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল ২০১০ সালে। তার পর ২০১৬ সালে নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায়। বম্বে হাই কোর্টও তাঁর সাজা লাঘব করেনি।

Bombay High Court Tantrik Sexual Harassment
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy