বম্বে আইআইটির মৃত পড়ুয়া দর্শন সোলাঙ্কি। —পিটিআই
নিচু জাতের ছেলে, এমনটা জানার পরেই বদলে গিয়েছিল বন্ধুদের ব্যবহার। দেশের অন্যতম কুলীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বম্বে আইআইটির এক পড়ুয়া সাত তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার আগে পরিবারকে তেমনটাই জানিয়ে গিয়েছিলেন। এক বার নয়, বেশ কয়েক বার বাড়িতে ফোন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে জাতিগত বৈষম্যের কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ নিম্ন আদালতে যে চার্জশিট দাখিল করেছে, তাতে পড়ুয়ার বয়ানও রাখা হচ্ছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বম্বে আইআইটির একটি হস্টেলের সাত তলা ভবন থেকে ঝাঁপ দেয় বিটেক (কেমিক্যাল)-এর প্রথম বর্ষের পড়ুয়া দর্শন সোলাঙ্কি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে দর্শনেরই এক সহপাঠী আরমান খাতড়ির নাম। অভিযোগ, এই আরমানই দর্শনকে প্রায়ই তাঁকে জাত তুলে খারাপ কথা বলতেন। প্রতিবাদ করলে দর্শনকে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন। মানসিক চাপ থেকেই দর্শন আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করে তাঁর পরিবার।
ডিসেম্বর মাসে মা এবং ছোট বোনকে ফোন করে বৈষম্যের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন দর্শন। ১২ ফেব্রুয়ারিও দুপুরে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জানান যে, ১৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ফিরে একটা পারিবারিক অনুষ্ঠানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাবেন। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েক পরেই দর্শনের বাবার কাছে আইআইটি কর্তৃপক্ষের ফোন আসে। সেখানে জানানো হয়, তাঁদের ছেলে আত্মহত্যা করেছেন। চার্জশিটে এই সমস্ত প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছে পুলিশ। নিম্ন আদালতে সেই চার্জশিট পেশ করাও হয়েছে। চার্জশিটে উল্লিখিত হয়েছে ৫৫ জন সাক্ষীর বয়ান। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আইআইটির বেশ কিছু অধ্যাপক এবং পড়ুয়াও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy