মণিপুরে রেলপথ বলতে একটিমাত্র স্টেশন, জিরিবাম। এ বার তাকে ব্রডগেজ লাইনে জুড়ে দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।
দু’দিন ধরে কাছাড় জেলার অরুণাচল স্টেশন থেকে জিরিবাম পর্যন্ত নতুন লাইন পরীক্ষা করেন রেলওয়ের সেফটি কমিশনার (সিআরএস) শৈলেশকুমার পাঠক। সঙ্গে ছিলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য প্রশাসনিক অফিসার অজিত পণ্ডিত, চিফ ইঞ্জিনিয়ার রবীন্দ্র রাম ও ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার নীরজ কুমার। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখপাত্র ডি সি বরা জানিয়েছেন, বুধবার তাঁরা মোটরট্রলিতে শিলচরের পার্শ্ববর্তী অরুণাচল স্টেশন থেকে শ্রীবার পর্যন্ত রেললাইন পরীক্ষা করেন। পরদিন প্রথমে ট্রলিতে শ্রীবার থেকে জিরিবাম যান। পরে জিরিবাম-শিলচর পুরো ৫১ কিলোমিটার রাস্তায় ‘স্পিড ট্রায়াল’ করেন সিআরএস পাঠক। বরা জানান, সর্বোচ্চ ১১৭ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলেছে নতুন বিজি লাইনে।
নতুন লাইন যাত্রীরেল চালানোর জন্য নিরাপদ কি না— তা নিয়ে পাঠক রেলবোর্ডে রিপোর্ট পাঠাবেন। তার ভিত্তিতেই ছাড়পত্র দেবে রেলবোর্ড। জিরিবাম-শিলচর নতুন লাইনে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে ট্রেন চলাকে রেলকর্তারা সন্তোষজনক বলেই মনে করছেন। তাঁদের আশা, দ্রুত ছাড়পত্র মিলবে। সে ক্ষেত্রে এপ্রিলের শুরুতেই মণিপুরের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে রওনা হবে ব্রডগেজ ট্রেন। জিরিবাম থেকে রেললাইনকে এগিয়ে নেওয়ারও কাজ চলছে। ২০১৭ সালের মধ্যে টুপুল পর্যন্ত ট্রেন চালানোর আশা করছেন তাঁরা।
১ ফেব্রুয়ারি রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু শিলচর থেকে রিমোট কন্ট্রোলে বোতাম টিপে বদরপুর-জিরিবাম ব্রডগেজ লাইনে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহণের সূচনা করেছিলেন। একই সঙ্গে বদরপুর-জিরানিয়া (ত্রিপুরা) মালগাড়িকেও যাত্রা শুরুর সঙ্কেত দেখান তিনি। জিরিবাম রুটে সিআরএস পরিদর্শন সম্পন্ন হওয়ায় পরে, এ বার ত্রিপুরায় সিআরএস পরিদর্শনের অপেক্ষা। রেলের এক সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্চের শেষ সপ্তাহে শৈলেশকুমার পাঠক বদরপুর-আগরতলা ব্রডগেজ লাইনে যাত্রী নিরাপত্তা খতিয়ে দেখবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy