৯০ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও পাকিস্তানি রেঞ্জারদের হেফাজতে রয়েছেন বিএসএফ (সীমান্তরক্ষী বাহিনী) কনস্টেবল পূর্ণম কুমার সাউ। এর মধ্যে তিন বার পাকিস্তানি রেঞ্জারদের সঙ্গে বৈঠকে (ফ্ল্যাগ মিটিং) বসেছে বিএসএফ। তবে রফাসূত্র এখনও অধরা। এই আবহে রিষড়া থেকে পঠানকোট যাচ্ছেন পূর্ণমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। পঞ্জাবের ফিরোজপুরে ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে পাক ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিলেন পূর্ণম।
পহেলগাঁওয়ে গত মঙ্গলবার জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছে ২৬ জনের। এই ঘটনায় মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। দুই দেশের টানাপড়েনের মধ্যেই বুধবার ভুল করে পঞ্জাবের ফিরোজপুরে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন পূর্ণম। তাঁকে আটক করে পাক রেঞ্জার। তার পরে পাকিস্তানি রেঞ্জারদের সঙ্গে তিন বার ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’ করেছে বিএসএফ। যদিও তার পরেও রফাসূত্র মেলেনি। এমনিতে সীমান্তরক্ষীদের ভুল করে নিয়ন্ত্রণরেখা পার হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। দুই তরফের বাহিনীর বৈঠকের পরে তাঁদের মুক্তিও দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনও পাকিস্তানি রেঞ্জারদের হাতে আটক পূর্ণম।
এই ঘটনার পরে ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখায় উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বিএসএফ। ওই জওয়ানকে ফেরানোর বিষয়ে সব রকমের চেষ্টা চলছে তাদের তরফে। পাকিস্তানি রেঞ্জারদের সঙ্গে কমান্ডার স্তরে বৈঠক করার অনুরোধ জানিয়েছে বিএসএফ। সূত্রের খবর, শীঘ্রই বৈঠকে বসতে পারেন দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ডার স্তরের আধিকারিকেরা। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে পরিস্থিতি নিয়ে অবহিত করেছেন বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল দলজিৎ চৌধরি।
আরও পড়ুন:
এ দিকে রিষড়ায় উদ্বিগ্ন পূর্ণমের পরিবার। তাঁর বাবা ভোলানাথ সাউ বার বার ছেলেকে ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। পূর্ণমের স্ত্রী রজনী সাউ অন্তঃসত্ত্বা। তিনি পঠানকোট যাচ্ছেন। গত বুধবার টহলের সময়ে পূর্ণমের শরীর খারাপ লাগছিল। সে সময় তিনি একটি গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে বসেছিলেন। তখনই পাকিস্তানি রেঞ্জারেরা তাঁকে আটক করে নিয়ে যান। অভিযোগ, ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে আটক পূর্ণম।